তৃপ্তি পাল কর্মকার:সত্যিই কি আকাশ-তনুশ্রীর বিয়েটা জোর করে দেওয়া হয়েছিল? সুলুকসন্ধানে গিয়েছিল স্থানীয় সংবাদ। আমরা গিয়েছিলাম দাসপুর-২ ব্লকের গোপালপুর গ্রামে তনুশ্রী কাণ্ডারের বাপের বাড়িতে। গিয়ে জানলাম ১৫ জুলাই তনুশ্রী যে দাবি নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ধরনা দিয়েছিলেন তার পেছনে ১০০ শতাংশ যুক্তি ও অধিকার রয়েছে। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আকাশ বর্তমানে ঘাটালে থাকলেও আদি বাড়ি তনুশ্রীদের বাড়ির পাশের গ্রাম কলাগেছিয়াতেই। তাই আকাশ তনুশ্রীর চেনাজানা ছেলেবেলা থেকেই। সম্পর্কে দূর প্রতিবেশী বলা যায়। আকাশের পড়াশোনা গ্রামের বাড়িতেই। চেনা জানার গণ্ডী পেরিয়ে ২০১৫ থেকে প্রেম দুজনের। তারপর চারহাত এক হয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন আকাশের দিদি জামাইবাবু। আকাশের বাবা আনন্দ ধাড়া সে সময় কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে ছিলেন। বিয়ের পরের দিন রেজিষ্ট্রি বিয়ের জন্য আবেদন করা হয়। কলেজ পড়ুয়া আকাশ বিয়ের পর তনুশ্রীর বাড়িতে থেকেই টিউশন ও কলেজ যেতেন। মাসখানেক পর আকাশ তাদের ঘাটালের বাড়িতে যান, তনুশ্রীকে আকাশ বলে যান যেহেতু আকাশের বাবা আনন্দ বাবু বিয়ের সময় বাড়িতে ছিলেন না তাই বাবাকে বুঝিয়ে তনুশ্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন তিনি। তারপর থেকে ফোনে যোগাযোগ থাকলেও ইদানিং সুরটা যেন কাটছিল কোথাও। তনুশ্রীকে এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি আকাশ ফোনের সিমকার্ড চেঞ্জ করে ফেলেন। এদিকে দেড় বছরের বেশি বিয়ে হয়েছে, তনুশ্রীও স্বামীর বাড়ি ফিরতে চান। ওপাশ থেকে কোনও আবাহন নেই বলে তনুশ্রী ১৫ জুলাই আকাশের ঘাটালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশনগরের বাড়িতে ঢুকতে যান। গেটটাখোলাই ছিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আকাশের দিদি আর মা দুজনে মিলে তনুশ্রীকে হিড়হিড় করে টেনে গেটের বাইরে বের করে দেন। তনুশ্রী গেটের বাইরে বসেই ধরনা দেন তার অধিকারের দাবিতে। এতো কিছুর পরেও তনুশ্রী আকাশের সঙ্গেই থাকতে চান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরই আমি ধরনায় যেতে বাধ্য হয়েছিলাম, লোককে দেখিয়ে নাটক করার জন্য নয়। আমার একটাই উদ্দেশ্য, স্বামীর সঙ্গে একসঙ্গে থাকব।একই অভিমত তনুশ্রীর বাবা রঘুনাথ কাণ্ডারেরও। •ভিডিওতে সমস্ত ফুটেজ রয়েছে।