ঘাটাল জুড়ে রেশনের আটায় প্লাস্টিক?সুলুকসন্ধান স্থানীয় সংবাদের

লকডাউনে অধিকাংশ ঘাটালবাসীর খাদ্যের জোগান দিচ্ছে রেশনের চাল ও আটা। কিন্তু এবার রেশন কেলেঙ্কারিতে নয়া সংযোজন বলেই মনে করছে ঘাটাল তথা সারা রাজ্য আর তা হল রেশনের আটায় প্লাস্টিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় আটায় প্লাস্টিকের ভিডিও সর্বত্র ভাইরাল। সেই দেখেই দাসপুর, ঘাটাল এবং চন্দ্রকোণার থানা এলাকার মানুষ নিজেরাই নিজেদের মতো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন রেশন থেকে দেওয়া তাদের আটায় প্লাস্টিক আছে কিনা।

আটায় জল দিয়ে মাখিয়ে সেই মাখা আটা চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে কিছু অবাঞ্ছিত জিনিস আটকে যাচ্ছে চালুনিতে। যেগুলি গম বা আটার অংশ নয় বলে দাবি করছেন দাসপুর থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের পাশাপাশি ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা।

বিষয়টি ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের নজরেও আসে। ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পালকে কয়েক দিন আগে সরাসরি বেশ কিছু উপভোক্তা এনিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। মহকুমা শাসক সঙ্গে সঙ্গে ঘাটাল মহকুমা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের নিয়ামককে বিষয়টি জানান। খাদ্য দপ্তর প্রশাসনকে জানিয়েছে ওটা প্লাস্টিক নয়। গ্লুটিন। যেগুলো বাজারের নামি ব্রান্ডের আটা-ময়দাতেও থাকে।

যাঁরা রেশনের আটা বরাবর খান তাঁরা কিন্তু খাদ্য দপ্তরের ওই ব্যাখ্যাকে মেনে নিতে পারছেন না। কারণ, যদি গ্লুটিন থাকে সেই প্রাকৃতিক জিনিস তো বরাবরই আটায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু এই দৃশ্য তো আগে কখনও দেখা যায়নি। তবে কী সত্যিই প্লাস্টিক? সুলুকসন্ধান শুরু করে টিম স্থানীয় সংবাদ।মহকুমার খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা এবিষয়ে মুখ না খোলায় আমরা সরাসরি যোগাযোগ করি জনপ্রতিনিধিদের সাথে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির কাছে পৌঁছই আমরা। সরাসরি বিষয়টি তুলে ধরি। অমূল্যবাবু বিষয়টি মেনেনিয়ে জানান,পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম এমন অভিযোগ ওঠে। সেই থেকেই তিনি আমাদের জেলার যে সব সংস্থা রেশনের আটা সরবরাহ করে মাঝে মধ্যেই ঝটিকা সফরে তাদের কারখানায় গিয়ে আটার মধ্যে কিছু বালি কাঁকর বা ওজনে কম বেশির বিষয়টি নজরে এলেও আটায় প্লাস্টিকের কিছু নমুনা তিনি পাননি। তিনি আরও জানান বিষয়টি যেহেতু খাদ্যের তাই তিনি জরুরি ভিত্তিতে এর ব্যবস্থা নেবেন এবং জেলায় আটা সরবরাহকারীদের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনও সংস্থার আটায় এমনটা ঘটছে তাও খতিয়ে দেখবেন।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!