তৃপ্তি পাল কর্মকার: লকডাউনের ফলে সারা রাজ্যে রক্তের চরম সঙ্কট চলছে। রক্তের অভাবে বহু থ্যালাসেমিয়া রোগী সহ অন্যান্য রোগীর জীবন সংশয় দেখা দেয়। সেই সময়েই ঘাটাল মহকুমায় রক্ত নিয়ে ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দীপক অধিকারীর(দেব) প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, রক্তের চাহিদা মেটানোর জন্য দেবের নির্দেশে আমি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলাম। সরকারি নির্দেশ মতো ঘাটাল ব্লাড ব্যাঙ্কেই ওই শিবিরগুলি সংগঠিত হয়েছিল। ১৫ এপ্রিল রক্তদান শিবির করার পর ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন মণ্ডল আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন বিধায়কের অনুমতি ছাড়া আর কোনও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা যাবে না। রামবাবু বলেন, রক্তদান শিবির নিয়ে হাসপাতালের সুপার বা ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কারণ তাঁরাই স্বাস্থ্যের বিষয়টি খুব ভালো করে বোঝেন। কিন্তু এক জন বিধায়ক কী করে স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের মাধ্যমে এই নির্দেশ দিতে পারেন এটা আমি ভাবতে পারছি না। রাজনীতি আগে না মানুষের জীবন আগে এটাও আমি বুঝে উঠতে পারছি না।
যদিও বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, প্রথম কথা রক্তদান নিয়ে আমি এই ধরনের কোনও মন্তব্য আমি কারোর কাছে করিনি এবং করতেও পারি না। আসলে কিছু মানুষ লকডাউনের মতো এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত প্রচার করে চলেছেন। দল বা প্রশাসনের কোনও নির্দেশ মানছেন না। তাঁরাই এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে ঘাটাল হাসপাতালের সুপার ডাঃ কুণাল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাকে এনিয়ে বিধায়ক সরাসরি কিছু বলেননি। তবে বিধায়কের ওই মন্তব্যটি অন্য সোর্স থেকে শুনেছি। কিন্তু আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ঘাটাল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান শিবির আয়োজন করা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। যে কোনও প্রতিষ্ঠানই যোগাযোগ করে রক্তদান শিবির আয়োজন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমরা কারোর আপত্তিই মানবো না।