তৃপ্তি পাল কর্মকার: এটি ঘাটাল ব্লকের মূলগ্রাম এলাকার জলার মাঠের ছবি। এই জলার মাঠেই রয়েছে মূলগ্রাম, ধর্মপুর,আলুই,সামসুর, মোহনপুর গ্রামের চাষীদের ধান জমি। বর্ষার মরশুমে মাঠ ভর্তি জল থাকে বলে এই জলার মাঠে একবারই ধান চাষ করতে পারেন চাষিরা। দেখতেই পাচ্ছেন মাঠ ভরা ধান। পাকা ধান এবার কেটে তোলার মরশুম। এই ধান কাটাকে কেন্দ্র করেই এবার সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। করোনা অতিমারীর জন্য দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সেজন্য অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। এতেই সমস্যা চাষিদের। এতো জমির ধান কাটার জন্য তারা পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। এই শ্রমিকরা ধান কাটার মরশুমে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন। মূলত এই শ্রমিকদের ওপর ভরসা করেই ধান কাটা,তোলা, রোপণ সব কিছুই করেন জমির মালিক। এবার ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুটি মত হয়েছে জমির মালিকদের মধ্যে। একদল চাইছেন যে এই ভরা কালবৈশাখীর সিজনে বাইরে থেকে মজুর এনেই ধান কাটা তোলা হোক। মাঠের ধান কাটতে দেরি হলে কালবৈশাখীর সময় নষ্ট হয়ে যাবে ধান। আর একদল জমির মালিকরা চাইছেন যে বাইরে থেকে মজুর আনলে তার থেকে এলাকার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এলাকার মানুষের সাহায্য নিয়েই ধান কাটা তোলা হোক। এই জলার মাঠ লাগোয়া বাসিন্দাদের অনেকের বাড়ির ছেলেরা ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে চোদ্দ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন মেনেছেন। তাদের মত এলাকার মানুষের সাহায্য নিয়েই ধান কাটা তোলা হোক। কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের কার কি রোগ আছে সেটা কারো জানা নেই।
Home এই মুহূর্তে ব্রেকিং এলাকায় পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাবে এবার ধান কাটা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা