শুভম চক্রবর্তী:নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাউন্ট থেকে টাকা তুলে না নিলে ফেরত চলে যাবে। কয়েকদিন আগেই এমনই ধারণার বশবর্তী হয়ে লকডাউন অগ্রাহ্য করেই ভোর থেকেই লম্বা লাইন পড়েছিল মহাকুমার অধিকাংশ ব্যাংকের সামনেই। এইবার এইরকমই আবারো একগুজবের শিকার ঘাটালবাসী। প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা মত উজ্জ্বলা যোজনা অন্তর্গত এলপিজি গ্রাহকদের সরাসরি ব্যাংকের একাউন্টে সিলিন্ডার কেনার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠানো হয়েছে কিছুদিন আগেই। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে কিছু গ্রাহকের মোবাইলে মেসেজ আকারে টাকা জমা পড়ার তথ্য গেলেও অনেক গ্রাহকের মোবাইলে তা পৌঁছায়নি।সমস্যাটা তৈরি হয় ঠিক এখানেই। গুজব ছড়িয়ে পড়ে অনুদানের টাকা ব্যাংক থেকে তুলেই বুক করতে হবে যোজনার সিলিন্ডার না হলে ওই টাকা আবার ফেরত চলে যাবে। এই গুজবের জেরেই যে সমস্ত গ্রাহকের মোবাইলে টাকা জমার মেসেজ এসেছিল তারা ভোর থেকেই ব্যাংকে ভিড় করছেন টাকা তোলার জন্য আর যাদের মেসেজ আসেনি তারা ভিড় করছেন অ্যাকাউন্ট বইটি আপডেট করার জন্য।এমনিতেই লকডাউন এর জেরে ব্যাংকের সময় কমানো হয়েছে তার উপর এমন অদ্ভুত পরিস্থিতিতে বেশ সমস্যায়।তারপর সমস্যা বেড়েছে টাকা কবে ঢুকবে, কেন মেসেজ এলো না, টাকা নিয়ে কিভাবে গ্যাস বুক করতে হবে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা ব্যাংক কর্মচারীদের। একই অবস্থা ঘাটালের গ্যাস এজেন্সিগুলোরও। ঘাটালের ইন্ডেন গ্যাস এজেন্সির তরফে সুকান্ত চ্যাটার্জী বলেন গ্রাহকদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে সরকার থেকে পাঠানো টাকা তুলে সেই টাকা থেকেই গ্যাস বুক করতে হবে এমন কোন নির্দেশিকা নেই গ্রাহক নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে গ্যাস বুক করবেন তাহলেই হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে মাসে উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্গত গ্রাহক অনুদান পেয়েছেন সেই মাসে যদি সিলিন্ডার বুক না করেন তাহলে পরের মাসে আর অনুদান পাবেন না।যেমন ধরুন গ্রাহক যদি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে অনুদান পেয়ে থাকেন তাহলে এপ্রিল মাসের মধ্যেই গ্রাহককে সিলিন্ডার বুক করতে হবে তবেই মে মাসে উনি আবার অনুদান পাবেন।সারাদিন আমাদের কাছে ফোনে অনেকেই প্রশ্ন করছেন এমনকি বহু জন অফিসে এসেও জিজ্ঞাসা করছেন ব্যাংকের ওই টাকা তুলেই গ্যাস বুক করতে হবে কিনা। আর যদি টাকা তুলতে না পারে তাহলে টাকা ফেরত চলে যাবেকিনা। আমাদের তরফ এ যতটা সম্ভব বোঝানোর চেষ্টা করছি, অনুরোধ করছি গুজবে কান না দিতে।