এই মুহূর্তে ক্রীড়া/অনুষ্ঠান অন্যান্য সাহিত্য সম্পাদকীয় নোটিশবোর্ড

E-Paper

মুখ্যমন্ত্রী আসার প্রাক্কালে বিদ্যাসাগরর জন্মভূমি থেকে শিল্পীর অভিনব শ্রদ্ধা

Published on: September 24, 2019 । 10:12 AM

রঙ-তুলি নয়। শষ্য দিয়ে বিদ্যাসাগরের অবয়ব আঁকলেন বীরসিংহের পাশের গ্রামের এক চিত্র শিল্পী সুমিত বাঙাল। বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে বীরসিংহে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে টানা সাতদিন ধরে নানান অনুষ্ঠান চলবে। আসবেন রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি সরষে, জিরে এবং ধনে দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই প্রাতঃস্মরণীয় মনীষীর অবয়বটি ফুঁটিয়ে তুললেন।

এর আগেও ১৩ই শ্রাবণ তিনি সজনেপাতা দিয়ে বিদ্যাসাগর এবং ২২শে শ্রাবণ সজনে পাতা দিয়ে রবীন্দ্রনাথের অবয়ব এঁকে সারা বাংলাকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।

সত্যি কথা বলতে কী আমাদের দেশে বহু শিশু কিশোর প্রতি বছর আঁকার জগতে প্রবেশ করছে তেমনই একই ধারায় হয়ত আবার তাদের ঝরে পড়তে হচ্ছে। পারিবারিক, সাংসারিক নানা চাপে তারা তাদের কাজের ধারা থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। একজন শিল্পীর মনের চিন্তা, চেতনাই ফুটে ওঠে তার আঁকা ছবির মধ্য দিয়ে। একজন শিল্পীর শিল্পচর্চার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশ, পারিবারিক সহযোগিতা ও মানসিক শান্তি। যেটি আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় একজন শিল্পীর জন্য পাওয়া বেশ বিশেষ সুযোগের ব্যাপার। তবু এই বৈরী পরিবেশে যুদ্ধ করে, নিজের পথে অটল থেকে নিজেদের ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছেন অনেক শিল্পী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এই ব্যতিক্রমী শিল্পী এই সুমিত বাঙালও।

সুমিতবাবুর বাড়ি বীরসিংহের পাশের গ্রাম খড়ার দন্দিপুরে। দাসপুর থানার একটি বিএড কলেজে অঙ্কন-শিক্ষক সুমিতবাবু। কলেজের বাইরেও কিছু ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত ছবি আঁকার কাজ শেখান। সুমিতবাবুর একে বারে মননের নেশা এই ছবি আঁকা। মোট কথা ছবি আঁকাই তার ধ্যান-প্রাণ সবকিছু। ছবি এঁকে তিনি কী পান তা নিয়ে তিনি এক বারও ভেবে দেখেননি। যা করেন মনের ভালো লাগা থেকে।

আমরা টিম স্থানীয় সংবাদের পক্ষ থেকে তাঁর সার্বিক সাফল্য চাই। তাঁর এই ভালো লাগা যেন তাঁকে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

সৌমেন মিশ্র

পাঠকের কাছে তথ্য ভিত্তিক সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই আমার দায়িত্ব। মোবাইল-৯৯৩২৯৫৩৩৬৭

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now