দাসপুর থেকে রঘুনাথ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অন্তর্গত ২.৬ কিলোমিটার নব নির্মিত সড়ক। নাড়াজোলের দিক থেকে সুরানারায়ণপুরের আশা ইটভাটা দিয়ে এই রাস্তায় খুব সহজেই বকুলতলার যানজট এড়িয়ে দাসপুরের ঘাটাল পাঁশকুড়া সড়কে পৌঁছে যাওয়া যায়। কিন্ত বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নব নির্মিত এই সড়কের হাল বেহাল!
রাস্তার দুই পাশের চওড়া মাটির বাঁধ যাচ্ছে ধ্বসে,স্থানে স্থানে হতে শুরু করেছে গর্ত। রাস্তার মাঝের একটি ক্যালভার্টের হাল বেহাল! প্রাণ হাতে করে পার হতে হচ্ছে ওই ক্যালভার্ট। স্থানীয় নিত্যযাত্রীরা কী বলছেন শুনে নেব…
লোকসভা ভোটের আগে এই রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে স্থানীয়রা কয়েকটি পোস্টারও দিয়েছিল। কিন্তু ফল তেমন কিছুই হয়নি। দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করে উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেই এ উপলব্ধি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেই। তাঁর আমলেই চালু হয় এই সড়ক যোজনা। তিনি চেয়েছিলেন গ্রামের প্রতিটি মাটির রাস্তাকে পাকাপোক্ত করে বড় রাস্তার সাথে মেলাতে। এতে কৃষকের কৃষিজাত দ্রব্য খুব সহজেই পৌঁছে যাবে দূরের বড় বাজারে। আরও মুনাফা পাবে কৃষক,আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা আসবে কৃষকের পরিবারে এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ। কিন্তু বেশিরভাব ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার সড়কের হাল বেহাল হয়েছে। দেখভালের পাঁচবছর তো দূরেথাক রাস্তা তৈরির বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাস্তায় দূর্নীর দাঁত নখ বেরিয়ে আসছে। আর এর যথাযথ উদাহরণ দাসপুরের এই রাস্তাই।