সরকারি নানা প্রকল্পের সৌজন্যে বঙ্গে কমেছে বাল্যবিবাহ। একেবারে নির্মূল না হলেও বাল্যবিবাহ দেবার ঝোঁক অনেকটাই কমেছে অভিভাবকদের। এমনিতেই বাল্যবিবাহ দেবার ঝোঁক বেশি গ্রামের দিকের মানুষের। বাল্যবিবাহের জন্যে অজ্ঞানতা যতটা না দায়ী তার থেকেও মাথা থেকে বোঝা নামিয়ে ভারমুক্ত হতে চাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রবণতা শিক্ষিত মানুষের মধ্যে একেবারেই নেই। খেটে খাওয়া সোজাসাপটা সাধারণ মানুষ, যারা জটিল জীবনের মারপ্যাঁচের মধ্যে নেই তারাই বিশেষ করে কন্যা সন্তানের খুব অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন।
বর্তমানে কন্যা সন্তানের জন্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প চালু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় রয়েছে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। রাজ্য সরকারের আওতায় রয়েছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে রয়েছে টাকার হাতছানি। যার কারণে স্কুলে যাবার প্রবণতা বেড়েছে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ১৩-১৮ বছর বয়েসী মেয়েরা বছরে সাড়ে সাতশো টাকা পায়, আর আঠারো বছরের পর পড়াশোনা চালিয়ে যাবার জন্য পায় পঁচিশ হাজার টাকা। আঠারোর পরে বিয়ে হলে দরিদ্র পরিবারের কন্যা রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় পায় আরও পঁচিশ হাজার।
সরকারি প্রকল্পগুলি সত্যিই বাল্যবিবাহ কমিয়ে দেবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। শৈশবে বিয়ে হলে তার কুফল সারাজীবন ধরে মেয়েটিকে বয়ে বেড়াতে হয়। পরিবারেও তার প্রভাব পড়ে।