সুদীপ্ত শেঠ,চাঁইপাট: সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো , নিজেকে তাই সাজাতে ব্যস্ত আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ৷ পাড়ায় পাড়ায় মন্ডপ তৈরির চুড়ান্ত ব্যস্ততা৷ জোর কদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ৷ মৃন্ময়ী মা সেজে উঠবেন চিন্ময়ী রূপে৷ মাকে সাজাতে যারা দিন রাত-এক করে যারা কাজ করে চলেছেন, কেমন রয়েছেন তাঁরা? খোঁজ নিল ‘স্থানীয় সংবাদ’৷ মা দুর্গার গহনা তৈরির দ্বায়িত্ব যাদের উপর সেই সকল শিল্পীদের অবস্থা মোটেই ভালো নয়! দাসপুর-২ ব্লকের ৫০টিরও বেশি পরিবার এখন ব্যস্ত সোলার গয়না তৈরি করতে৷ বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে গহনা তৈরির কাঁচামাল শোলা, বুলেন, চুমকি, পুঁতি কিনে গহনা গড়ে আর তেমন পড়তা হচ্ছে না আক্ষেপের সুর ওই সকল কুটির শিল্পীদের৷ তার ওপর বেশিরভাগ পুজো উদ্যোগতারা এখন থিম নিয়ে বেশি চিন্তিত, ফলে আগের থেকে বাজেট কমেছে প্রতিমার৷ এর ফলে সমস্য আরো বেড়েছে শিল্পিদের৷ ওই শিল্পের সাথে যুক্ত শিল্পী দীনেশ শেঠ, গোপাল শেঠ, অনিল শেঠ,তুষার শেঠ, রঞ্জিত মালাকার প্রমুখ একযোগে বলেন, যে পরিমান পরিশ্রম ও খরচ করতে হয় তার নিরিখে এখন আর লাভ তেমন হয় না৷ সংসার খরচ চালাতে হিমসম খেতে হচ্ছে৷ এটাই আমাদের রোজকারের সময়, চাহিদাও কম৷ প্রত্যাশিত দামও পাচ্ছি না৷ এখন মা দুর্গার কাছে এটাই প্রার্থনা আমাদের ওপর যেন একটু কৃপা করেন৷