সুদীপ্ত শেঠ:দাসপুর-২ ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাল সংস্কারে হাত লাগাতে চলেছে সেচ দপ্তর। দীর্ঘদিন ধরে চন্দ্রেশ্বর ও পলাশপাই ওই দুটি খাল সংস্কার না হওয়ার ফলে জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। ২০১৭ সালে বন্যার জমে থাকা জল চন্দ্রেশ্বর ও পলাশপাই খাল দিয়ে রূপনারায়ণে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় নেয়। সমস্যা এমন আকার নিয়েছিল যে পাম্প বসিয়ে জলস্তর নামাতে উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। এবার দ্রুততার সাথে ওই খালগুলি খননে উদ্যোগী হয়েছে সেচ দপ্তর। দাসপুরে একটি সেতুর উদ্বোধন করতে এসে এমন কথাই জানালেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ওই দুটি খাল সংস্কার করার জন্য ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। টেন্ডারের কাজ যাতে দ্রুত হয় তার নির্দেশ দিয়েছি। বর্ষার সময় জলাধারগুলি থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া হলে, ওই জল রূপনারায়ণ নদে পতিত হওয়ার সুযোগ পাবে। যার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কমবে। যদিও ওই এলাকার বাসিন্দারা খাল সংস্কার ইস্যুতে আশার আলো খুব একটা দেখছেন না। বাসিন্দারা জানান, খাল সংস্কারের বিষয়ে এর আগেও উদ্যোগ নেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। ২০১৬ সালে চাঁইপাট বেলডাঙা, মদপুকুর, কুইগোড়া সহ বেশ কিছু এলাকার চাষীদের বোরো চাষ বন্ধ রাখতে হয়েছিল ওই বছর। তবে সেচ মন্ত্রীর ঘোষণার পরে আবার খাল সংস্কার নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা দোলই বলেন, মন্ত্রী আমাদের ওই দুটি খাল সংস্কারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছেন। শীঘ্রই দুটি খাল যাতে সংস্কার করা যায়, সেই বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করতে চলেছি।