•চন্দ্রকোণা থানা এলাকার বেশ কিছু যুবককে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিচিত্রভাবে মগজধোলাই করা হচ্ছে। ফলে তাঁরা ওই সংস্থায় যাওয়ার পর বাড়ির সব কিছু ভুলে যাচ্ছেন। সাতিতেঁতুল, কংকাবতী, মাংরুল, ঝাঁকরা এলাকার কিছু যুবকের পরিবারের এই রকমেরই অভিযোগ। চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের মাংরুল গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। শান্তনুবাবু বলেন, হুগলি চুঁচুড়ার তালডাঙার একটি সংস্থা ওই কাজটি করছে বলে প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি।যা জানা গিয়েছে—•ওই সংস্থা ১৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৮থেকে ৩০ বছরের যুবক-যুবতীদের প্রলুব্ধ করে। •ওই চাকুরি দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেয়। •যাঁরা রাজি হন তাঁদেরকে ওই সংস্থা চুঁচুড়ার তালডাঙার একটি ডেরায় নিয়ে যায়। •যেখানে বিশাল নিরাপত্তার মাধ্যমে রাখা হয়। •বাইরে বেরোতে দেওয়া হয় না। বেরাতে দেওয়া হলেও সঙ্গে ওই সংস্থারই গার্ড থাকে। •সাধারণ মানের খাবার দেওয়া হয়। •নিয়ম করে ফোন ব্যবহার করতে হয়। ইচ্ছে মতো ফোন ব্যবহার করা যায় না। •তারপর চলে নিয়মিত কাউন্সেলিং বা মগজ ধোলাই। •মগজ ধোলাইয়ের মূল উদ্দেশ্য থাকে বাড়ির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা যাবে না। •কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয় না, চলে শুধু মোটিভেশনই।মগজ ধোলাই এমন পর্যায়ে চলে যায়, যার ফলে ওই সমস্ত যুবকেরা ১৫-২০দিন পর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করেন। বাড়ির কথা বললেই বিরক্ত হয়ে পড়েন। বাড়ি আসতে চান না।কেন ওই ধরনের মগজ ধোলাই তা বুঝে উঠতে পারছেন না ওই এলাকার বাসিন্দারা। ওই সংস্থার উদ্দেশ্যও বোঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর অনেক পরিবারই তাঁদের বাড়ির ছেলেদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু আনতে গিয়েও বিপত্তি। যাঁরা ওখানে গিয়ে ওই সংস্থার চক্রে পড়েছেন তাঁরা মানসিকভাবেও অস্বাভাবিক হয়ে পড়ছেন। বাড়ির লোক দেখলে বিরক্ত হচ্ছেন। প্রধান বলেন, কয়েক জনকে জোর করে বাড়ি আনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও উদ্বেগে রয়েছি। •ছবিটি প্রতীকী।
মোবাইলে নিয়মিত খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন Whatsapp