রবীন্দ্র কর্মকার: ঘাটাল থেকে কি আর গাড়ির নম্বর প্লেট পাওয়া যাবে না? ঘাটাল এআরটিও অফিস থেকে গাড়ি বা বাইকের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নম্বর প্লেটের জন্য কি আবার মেদিনীপুর শহরে ছুটতে হবে? সম্প্রতি এরকমই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে ঘাটাল মহকুমা অতিরিক্তি আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের কার্যালয়ে। কারণ, যে এজেন্সি গাড়ির নম্বর প্লেট তৈরি করার বরাত পেয়েছে তারা নাকি এসডিও অফিসে নম্বর প্লেট তৈরি করার মেশিন রাখার মতো উপযুক্ত নিরাপত্তা পাচ্ছে না। তাই তারা মেশিনকে তুলে নিয়ে মেদিনীপুর চলে যাবে। যদিও মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, ওরা চাইলেই সেটা হতে দেওয়া যাবে না। মহকুমা প্রশাসন এবং পরিবহণ দপ্তর ঘাটাল থেকেই নম্বর প্লেট লাগানোর সিস্টেমটি আগের মতোই চালু রাখবে।
ঘাটাল মহকুমায় পরিবহণ দপ্তরের কোনও অফিস ছিল না। ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালে এ আর টি ও অফিস খোলার নির্দেশ দেন। সই মতো ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঘাটালে পরিবহণ দপ্তরের অফিসটি খোলে। ২০১৭ সাল থেকে ঘাটালে পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হয়।
পরিবহণ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিকরা শোরুম থেকে গাড়ি কেনার পর গাড়ি বা বাইকের রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য কাগজপত্র পরিবহণ দপ্তরে জমা দেন। পরিবহণ দপ্তর রেজিস্ট্রেন নম্বর ইস্যু করার পর পরিবহণ দপ্তর নিযুক্ত একটি এজেন্সি সেই নম্বর প্লেট তৈরি করে তারাই গাড়িতে লাগিয়ে দেয়।
ঘাটালে এই ভাবেই চলে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ওই প্লেট নির্মাণকারী সংস্থা তাদের ইউনিটটি মেদিনীপুরে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর ইউনিটটি সত্যিই যদি মেদিনীপুর চলে যায় তাহলে ঘাটাল মহকুমার বাইক ও গাড়ির ক্রেতাদের বাহন কিনে ঘাটাল থেকে বাহনটি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেওয়ার পর তাঁকে ৭০ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুর নিয়ে গিয়ে নম্বর প্লেট লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এটা বাইক বা গাড়ির মালিকেরা মেনে নিতে পারছেন না। কারণ এতে গাড়ি ও বাইকের মালিকদের প্রচুর হয়রানি বাড়বে।
এনিয়েই টালাবাহানা চলছে। এজেন্সি মেদিনীপুরে মেশিন তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড়। পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে, সর্বস্তরে আলোচনা চলছে। নম্বর প্লেট যাতে ঘাটাল থেকেই লাগানো হয় তা নিয়েই আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলছি।