শম্পা পাল (ভূগোলের শিক্ষিকা, আলুই হাইস্কুল• ঘাটাল): দাসপুর থানার কুঞ্জপুর বা চন্দ্রকোণার বসনছড়ার মাঠে এই ধরনের (নিচে ছবিতে: যন্ত্রাংশ ভর্তি সাদা বাক্সের মতো) যা পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে আতঙ্ক করার কোনও কারণ নেই। এগুলোকে ওয়েদার বেলুন বলা হয়। ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যান্ড রিসার্চ অরগানাইজেশন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বায়ুমণ্ডল গবেষণার জন্য দমদম বিমান বন্দরের আবহাওয়া দপ্তর থেকে ছাড়া হয়। বিমান চালানোর প্রয়োজনে আবহাওয়ার বিভিন্ন রকম তথ্য নেওয়ার জন্য এই বেলুনটি ছাড়া হয়ে থাকে। বেলুনটি মাটি থেকে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার উচুঁ দিয়ে উড়তে থাকে। আর বেলুনটির ওজন এক কেজির নিজে। বেলুনটি আড়াই-তিন ঘন্টা ওড়ার পর আপনা হতেই ফেটে যায়। কিন্তু ফেটে যাওয়ার আগেই ওর মধ্য থাকা ট্রানজিসটর থেকে সমস্ত তথা সংগ্রহ করে নেওয়া হয়ে থাকে।প্রত্যেক দিন বিমান বন্দর থেকে এই ধরনের বেলুন ২ থেকে ৩টি করে ছাড়া হয়। এই বেলুনের মধ্যে কোনও রকম বিস্ফোরক থাকে না। তাই এগুলি মোটেই বিপজ্জনক নয়। এই ধরনের প্যাকেট বা বাক্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যোগাযোগ করার নম্বর দেওয়ার কথা। তাই এগুলো দেখতে পেলে, না খোলাখুলি করে ওই নম্বরে বা স্থানীয় থানায় জানিয়ে দেওয়াই ভাল। নষ্ট করে দেওয়া মানে, অনেক টাকার সম্পদ নষ্ট করে দেওয়া।