পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা মিছিল করে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ও জেলার ডি আই এর কাছে ডেপুটেশন দিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই ডেপুটেশনের মূল দাবি ছিল জেলায় অবৈধ বদলি ও প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামোয় পরিবর্তন এনে লাগু করতে হবে পি আর টি স্কেল।
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের এক অরাজনৈতিক সংগঠন হল এই উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়াশান (UUPTWA)। এদিন এই সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রকাশকান্তি দত্ত বলেন,অবৈধভাবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর বেছে বেছে কিছু শিক্ষককে নিজের বাড়ি থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরেও বদলি করেছে। তাদের একটাই দোষ তারা উস্থির তরফে রাজ্য সরকারের উপর আঙুল উঁচিয়ে নিজেদের হকের বেতনে পি আর টি স্কেল লাগু করতে আন্দোলন করেছিল। এই অনৈতিক অবৈধ বদলি থেকে রেহাই পাননি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উস্থির প্রাক্তন সম্পাদক চিরঞ্জীব বিসই। তাঁকে কেশপুর থেকে পুরুলিয়া বদলি করে দেওয়া হয়।
৯ই মার্চের ঘটনা। দিল্লিতে সহকর্মীদের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে তখনও তাঁর বাড়ি ফেরা হয়নি। ট্রেনে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর চক্রের ঘোষপুর এফ পি বিদ্যালয়ের এই সহকারী শিক্ষক। ট্রেনে বসেই বিদ্যালয় থেকে ফোনে জানতে পেরেছিলেন তাঁকে বদলি করা হয়েছে সুদূর পুরুলিয়া জেলার একটি বিদ্যালয়ে। বদলির খবর পেয়ে যথেষ্ট বিচলিত চিরঞ্জীব বাবু। বুঝে উঠতে পারছিলেন না হঠাৎ ঠিক কোন কারণে তাঁকে একেবারে জেলা ছাড়িয়ে অন্য জেলায় বদলি করা হল! আজ এই শিক্ষককে নিজের জেলা ফিরিয়ে আনার দাবি ওঠে উস্থির তরফে।
জেলার প্রাথমিক সংসদ সভাপতি ও ডি আইয়ের কাছে আরও দাবি করা হয়, এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা দেশের অন্যান্য রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের মতো পি আর টি স্কেলে বেতন পাচ্ছেন না। উচ্চমাধ্যমিক ও দু বছরের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে শিক্ষক পদে যোগদান করেও বেতন মিলে প্রায় মাধ্যমিকের স্কেলে। বেতন কাঠামোয় পরিবর্তন এনে লাগু করতে হবে পি আর টি স্কেল।
সংসদ সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা জানান,ওই শিক্ষকের ওই বদলি বিষয়ে তাঁর কোনো হাত ছিল না। ওই চিঠি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে নির্দেশের ভিত্তিতেই করা হয়। আর, পি.আর.টি স্কেলের নিয়ে তাঁর কিছু করার নেই। এটি তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে। তবে নারায়ণবাবু জানান,এই ডেপুটেশনের কপি তিনি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে পাঠিয়ে দেবেন। কিছু করার থাকলে তাঁরাই করবেন।