•দাসপুর থানার লাওদা গান্ধী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকরা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বাবার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুললেন। অভিযোগ, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মুনমুন সামন্ত নানা দুর্নীতিমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। মুনমুনদেবী আগে অন্য স্কুলে চাকুরি করতেন। সেই স্কুলের ভাউচার দেখিয়ে এই স্কুলে টাকা তুলেন বলে জানা গিয়েছে। মিড ডে মিলেও নানান অসঙ্গতি রয়েছে। মুনমুনদেবীর ওই ধরনের আরও অনেক দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় এমনিতেই চার শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষিকার সম্পর্ক অহি-নকুল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্কুলের অফিস ঘর থেকে প্রায়ই উচ্চস্বরে ঝগড়ার আওয়াজ ভেসে আসে। মুনমুনদেবী নাকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মানিয়ে নিতে পারেন না। মোট পাঁচ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে গোষ্ঠীগত অবস্থান ১-৪। শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, সবই প্রধান শিক্ষিকার জন্য। আমরা মুনমুনদেবীর নানান দুর্নীতিমূলক কাজের প্রতিবাদ করি বলেই তিনি আমাদের সহ্য করতে পারেন না। সেজন্যই ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুনমুনদেবী তাঁর বাবা বাসুদেব সামন্তকে দিয়ে ফোনে এক শিক্ষককে হুমকি দেন। বিষয়টি শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় আজ ১১ জানুয়ারি শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রধান শিক্ষিকার বাবার বিরুদ্ধে দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ অবশ্য আরও মারাত্মক। তিনি বলেন, ওই চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলটাকে আড্ডাখানায় পরিণত করে দিয়েছেন। ওই চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রত্যেক দিন প্রার্থনার পর স্কুলে ঢোকেন। ক্লাসে সর্বক্ষণ মোবাইল ঘাঁটেন। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ভিডিও কলিং চলে। পড়ুয়াদের পড়ানোর বিষয়ে কোনও আগ্রহ নেই। চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলের মধ্যেই সব সময় হয় মোবাইল না হয় পরচর্চায় মেতে থাকেন কিম্বা ঘুমান। মুনমুনদেবী বলেন, চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক অভিভাবক তাঁর কাছে অভিযোগও করেছেন।
একই স্কুলের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের মধ্যে এত তরজা সম্ভবত ঘাটাল মহকুমায় এই প্রথম। এবিষয়ে মুনমুন দেবীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বাসুদেববাবু যে হুমকি দিয়েছিলেন সেই কল রেকর্ডিং অবশ্য এখন ভাইরাল হয়ে স্মার্ট ফোনে ঘোরাঘুরি করছে। অপর দিকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘুমানোর এবং মোবাইল ঘাঁটার ছবিও ভাইরাল হয়েছে।