আর্য সামন্ত👆[স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল]: নগণ্য কিছু এক্সেপশনাল স্টুডেন্ট ছাড়া বাকী স্টুডেন্টদের এক্কেবারে তছনছ করে দিল এই করোনা। এমনিতেই কোয়ালিটি শিক্ষার গ্রাফ ক্রমশ কমছে কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে ২-৩ টে ব্যাচের মানে স্টুডেন্টদেরও ২-৩ বছর, হয়তো তার শিক্ষাজীবনকেও ডেঞ্জার জোনে ফেলে দিল এই করোনা।
স্কুল নেই, পরীক্ষা নেই, ক্লাস নেই,পয়সা নেই, টিউশনও গয়ংগচ্ছ… পড়বে কেন স্টুডেন্টরা? যারা উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে বেরোলো বা যারা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দেবে বা দেবেনা,যারা ইলেভেনে পড়ে..সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এরাই। সাধারণ ডিগ্রী কোর্সের স্টুডেন্টরা,বৃত্তিমূলক কোর্সের স্টুডেন্টরা যেটুকু শিখতো সেটাও হচ্ছেনা।
এইসময় “দুয়ারে শিক্ষা”-র ভীষণ প্রয়োজন ছিল কিন্তু তার বদলে যা যা পেল তা দিয়ে মন বা পেট ভরতে পারে কিন্তু ভবিষ্যৎ না।
এদিকে স্টুডেন্টরা কলেজ-স্কুলে প্র্যাকটিক্যাল অন্ততপক্ষে করতে যেত,সেটাও শিখছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস করতে না গেলেও কোচিংয়ে সেটা করে ফেলতো। কিন্তু সেখানেও পড়াশোনা ঠিকঠাক হচ্ছেনা,অনলাইনে সেই কোয়ালিটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিলো স্ট্যান্ডার্ডে নেমে গেছে স্ট্যান্ডার্ড টিচারদের ক্ষেত্রেই। অনেকে শুধু হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন-নোট পাঠিয়ে,উত্তর চেক করেই কাজ সেরে দিচ্ছেন। আবার অনেক স্টুডেন্ট টাকার অভাবে প্রাউভেট ছেড়ে দিতেও বাধ্য হচ্ছে।
এরই পাশাপাশি যারা প্রফেশনালি বা চাকরির প্রিলিউডে অকেশনালি প্রাইভেটটিউটর তাদের স্টুডেন্ট সংখ্যা কমছে, তারা অন্যের বাড়িতে গিয়ে পড়াতেও পারছেনা। অনেক ফ্যামিলি আবার বাকী টাকাটাও দিচ্ছেনা! অনেকে আবার ফিজও কম দিচ্ছে। ফলে এদের সংকটও বাড়ছে। আর যারা হাতখরচ ও মেসখরচ এই প্রাইভেট থেকে চালায় ও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা আরও ডিপ্রেশড হয়ে পড়ছে।করোনা শুধু প্রাণ নিচ্ছেনা অর্থনীতিকে ধ্বংস করছেনা নষ্ট করছে প্রজন্মকে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পড়িয়ে বা কথা বলে সাহায্য করুন , সামান্য হলেও আর্থিকভাবে সাহায্য করুন। মানসিকভাবে সবার পাশে থাকুন।
•আমাদের ফেসবুক পেজ:https://www.facebook.com/SthaniyaSambad.Ghatal/
•ইউটিউব চ্যানেল:https://www.youtube.com/SthaniyaSambad
•টেলিগ্রাম চ্যানেল:https://t.me/SthaniyaSambadGhatal