নিজস্ব সংবাদদাতা: চন্দ্রকোণা থানার আঁধারিয়া গ্রামের এক গৃহবধূ দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ঝাড়-ফুঁক দিয়ে রোগ সারিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে ছিল ওই থানারই তাতারপুর গ্রামের এক ‘গুনিন’ উত্তম ঘোষ। ঝাড় ফুঁকের নাম করে এক গৃহবধূকে বাড়িতে ডাকে চন্দ্রকোণা থানার তাতারপুরের এক ‘গুনিন’ উত্তম ঘোষ। ধর্ষিতা বলেন, সেখানে যেতে আমার সঙ্গে থাকা পরিজনদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলা হয়। কারণ হিসেব ওই ‘গুনিন’ জানায়, রোগীর সঙ্গে পরিজনরা থাকলে দেবতা দেখা দেবে না। কাজের কাজ কিছু হবে না। রোগও সারবে না। রোগ সারানোর জন্য গৃহবধূ তাই করেন। তারপরই ‘দেবতার’ আবির্ভাব দেখানোর জন্য বাড়িতে রাতে রাখা হয়। তারপরই রাতে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পরেই মহিলা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ভয়ে কাউকে বলেননি। এদিকে ওই গুনিনের পক্ষ থেকেও ঘটনাটি চেপে দেওয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। মহিলা বলেন, তা সত্ত্বেও এই কয়েক দিন আগে আমি এক সম্পর্কিত দাদুকে ঘটনাটি বলি। তারপরই থানায় অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২২ জুলাই গুনিনকে গ্রেপ্তার করে চন্দ্রকোণার পুলিশ।