মন্দিরা মাজি, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: জাতীয় যোগা অলিম্পিয়াড থেকে রৌপ্য পদক জিতে ফিরল ঘাটালের আয়ুষ জানা। আয়ুষের [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] বাড়ি ঘাটালের রথতলা গম্ভীরনগর এলাকায়। পড়াশোনার জন্য আয়ুষ খগড়পুরে থাকে। খগড়পুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় নম্বর ২এ অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে আয়ুষ। সেই স্কুল থেকেই জাতীয় যোগ অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল আয়ুষ। এই যোগা প্রতিযোগিতাটি কোনও ক্লাব বা বেরসরকারি সংস্থা আয়োজন করেনি।ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক এই জাতীয় যোগা অলিম্পিয়াডের আয়োজন করেছিল। যার ব্যবস্থাপনায় ছিল ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং [NCERT]। যোগা অলিম্পিয়াডে এই সাফল্যের জন্য আয়ুস একটি রৌপ্যপদকের পাশাপাশি এনসিইআরটির ডিরেক্টর অধ্যপক দীনেশপ্রসাদ সাকলানি এবং ডিন অধ্যাপক গৌরী শ্রীবাস্তবের সাক্ষরিত একটি শংসাপত্রও পেয়েছে।
আয়ুষ বলে, ১৮ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের ভূপালে এই প্রতিযোগিতাটি হয়েছিল। আমাদের স্কুল থেকে আমি এবং আরও দু’জন অংশগ্রহণ করেছিল এই প্রতিযোগিতায়। এই প্রতিযোগিতার জন্য আমরা ১০ জুন ভূপালে পৌঁছে যাই। তারপর আমাদের একটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ট্রেনিঙের ব্যবস্থা করা হয়। তারপর ১৮ জুন থেকে মূল প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়। এই প্রতিযোগিতায় আমাদের প্রাণায়াম, ক্রিয়া, গরুড় আসন, অর্ধমস্তিন্দ্র আসন, মৎস্য আসন, ধনুরা আসন, ত্রিকোণা আসন, চক্র আসন এই আসনগুলি করতে হয়েছিল। অনুর্ধ্ব ১৪ বছর বিভাগে আমি দ্বিতীয় স্থান দখল করি এবং রৌপ্য পদক জিতে নিয়ে আসি।
আয়ুষের বাবা রন্টু জানা মারুতি সুজুকি ওয়ার্কশপের ম্যানেজার। মা নিবেদিতা জানা একজন গৃহবধূ। রন্টুবাবু বলেন, খড়গপুর নেতাজি নগরে কাঞ্জি যোগ কেন্দ্র বারবেটিয়াতে ৫ বছর ধরে কৌশিক কাঞ্জির কাছে যোগাসনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ছেলে। আয়ুষের ইচ্ছে সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে যেতে চায়। তার পাশাপাশি যোগাসন চালিয়ে যেতে চায় এবং পরবর্তীতে আরও বড় জায়গায় যোগাসন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। এর আগেও সে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে যোগাসন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল।