সৌমেন মিশ্র, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: করোনা চা,প্রায় ৪ থেকে ৫ ধরনের জড়িবুটি দিয়ে তৈরি এই চা-ই করোনার ভয় কাটাচ্ছে রাজনগরের হাটবাজারে আসা মানুষদের। ছিল ২০ বছরের সোনার কাজ,ছিল নিজের দোকান,সব কেড়েছে এই করোনা। এখন সেই করোনার নামে চা বিক্রি করেই দিন কাটছে তাঁর।
করোনা আর লকডাউনের ফলে সোনার কাজ হারিয়ে পেশা বদল করতে হয়েছে অনেককেই।
কেউ বেছে নিয়েছে সবজি বিক্রি,কেউ বা ফল বিক্রি। আর দাসপুরের অমল পাইন সোনার কাজ হারিয়ে করোনা কালে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন চা বিক্রি। দাসপুরের রাজনগর এলাকার অলিগলিতে এখন অমলের চা ‘করোনা চা’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। সকাল বিকেল সকলের মুখে একটাই কথা, চল করোনা চা খেয়ে আসি।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ব্লকের রাজনগরের অনেক যুবক করোনার জেরে সোনার কাজ হারিয়ে পেশা বদল করেছে। অধিকাংশ যুবকের মতো অমলও সোনার কাজ করে সংসার চালাচ্ছিল। ভিনরাজ্যে ছিল নিজের দোকানও। কিন্তু করোনা আর লকডাউনে সোনার কাজ হারিয়ে বর্তমানে চা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
স্থায়ী দোকানে নয়,রোজ সকালে উঠে বাড়ি থেকে চা তৈরি করে ফ্লাক্সে ভরে নিজের ছোট্ট সাইকেলে করে বেরিয়ে পড়েন তিনি বাজার হাটে। বিভিন্ন ধরণের মশলা ব্যবহারে তৈরি এই চা। বাজারের অন্য চায়ের থেকে পৃথক করেছে অমলের চা কে। নবীন থেকে প্রবীন সকলের মুখে অমলের চা এখন করোনা চা হিসাবেই পরিচিত।
চা পানের পর অনলাইনে পেমেন্ট করার সুবিধা রেখেছেন তিনি।
অমলের মতো দাসপুরের অনেক যুবকের সাথে কথা বলে জানতে পারা গেল, তাঁরা আগে কাজ করতো সোনার। কিন্তু করোনা আর লকডাউনের জেরে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, তাই তাঁরা পেশা বদল করেছেন।
প্রত্যেকেরই দাবি বারবার প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় দাসপুরে ‘সোনার হাব’ তৈরি করা হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। দাসপুরে ‘সোনার হাব’ হলে,কাজ হারানো যুবকেরা পুনরায় শুরু করতে পারবে সোনার কাজ।