নিজস্ব সংবাদদাতা: বন্যার জলে ভেসে আসছে একের পর এক বিষধর সাপ। চারিদিকে জলের মাঝে যেটুকু জেগে সেটুতেই সাপে-মানুষে সহাবস্থান। একটু অন্যমনস্ক হলেই রেহাই নেই। ঘাটাল জুড়ে একাধিক বন্যার্ত ইতিমধ্যেই সাপের কামড় খেয়ে চিকিৎসাধীন। অনেকক্ষেত্রেই বন্যাকবলিত ঘাটালবাসী আতঙ্কেই বিষধর সাপ দেখলেই মেরে ফেলছেন। তবে সময় আর সুযোগ থাকলে অনেকে আবার সাপ দেখলে এই পরিস্থিতিতেও বনদপ্তরে খবর দিচ্ছেন। উদ্ধার হচ্ছে চন্দ্রবোড়া,কেউটে,গোখূরো কালাচের মতো বিষধর সাপও। বৃহস্পতিবার এবং আজ শুক্রবার মিলে ঘাটালের প্রসাদচকের তারাপদ দাসের বাড়িতেই উদ্ধার প্রকাণ্ড ৩ গোখুরো। তারাপদ বাবু জানান,চারিদিকে জল হলেও তাদের বাড়ি এখনও জেগে। বাড়ির মধ্যে এবং বাড়ির চারপাশে দিনে রাতে দেখা মিলছে বিভিন্ন বিষধর সাপের। এই বন্যায় মানুষের মত ওরাও গৃহহারা তাই সাপ দেখলেই তিনি স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ মারফৎ খবর দিচ্ছেন বনদপ্তরে। উদ্ধার হয়েছে একাধিক বিষধর সাপ। আজ শুক্রবার ঘাটাল মহকুমা সোশ্যাল ফরেস্ট্রির রেঞ্জার বিশ্বনাথ মুদিকোরা নিজে তাঁর সদস্যদের নিয়ে বেরিয়েছিলেন প্লাবিত এলাকাগুলি থেকে সাপ উদ্ধারে। তিনি বলেন,আজ মোট চারটি সাপকে আমরা চন্দ্রকোণার ধামকুড়ার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, অনেকেরই ধারণা থাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপ উদ্ধার করে আমরা সাপের বিষদাঁত তুলে দিই কিম্বা বিষ বার করে নিই। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সাপ উদ্ধার করে তাদের কোনও রকম ক্ষতি না করেই নিরাপদ জায়গায় ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।