নিজস্ব সংবাদদাতা, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণের ১২১ তম জন্মদিবস সাড়ম্বরে পালন করল দাসপুরের গান্ধী মিশন ট্রাস্ট। ১১ অক্টোবর ওই উপলক্ষ্যে গান্ধী মিশনের জে.পি মিউজিয়াম হলে ’সামাজিক পূনর্গঠন এবং পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জয়প্রকাশ নারায়ণের ভাবনা কীভাবে অনুপ্রেরণা নেয়’— তার উপর একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গান্ধী মিশন ট্রাস্টের সম্পাদক নারায়ণ ভাই বলেন, এদিন সেমিনারে ঘাটাল, নাড়াজোল, চাঁইপাট ও বেলদা কলেজ থেকে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা অংশ নেন। সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়না কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তথা গান্ধী মিশন ট্রাস্টের সভাপতি প্রশান্ত সামন্ত, বেলদা কলেজের অধ্যাপক তুহিনকান্তি দাস, নাড়াজোল কলেজের অধ্যাপক রাজশ্রী দেবনাথ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুতাইত প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জয়প্রকাশ নারায়ণ ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী, তাত্ত্বিক, সমাজতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক নেতা। তিনি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বীর নামেও পরিচিত এবং ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে বিরোধী নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাকে স্মরণ করা হয়, যার পতনের জন্য তিনি “সম্পূর্ণ বিপ্লব” করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি তার সামাজিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মরণোত্তরভাবে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন লাভ করেন। অন্যান্য পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৬৫ সালে পাবলিক সার্ভিসের জন্য ম্যাগসেসে পুরস্কার। আপদকালীন সময় তাঁর নেতৃত্বে যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে জেপি মুভমেন্ট বলা হয়।