রবীন্দ্র কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ: ‘এ নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্ত দিয়ে এক প্রসূতি মায়ের প্রাণ বাঁচালেন ঘাটালের যুবক।ওই যুবকের নাম তাপস পাত্র। তিনি ঘাটালের সিংহডাঙাতে এক মিষ্টির দোকানের কর্মী। জানা যায়, জ্যোৎস্না পালুই নামে এক গর্ভবতী মা ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। জরুরিকালীন ভিত্তিতে অপারেশনের জন্য তাঁর ‘এ নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্ত দরকার পড়ে। কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্কে ওই গ্রুপের রক্ত না থাকায় রোগীর বাড়ির লোক বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়ে যখন হতাশ তখন খবর যায় ঘাটাল মহকুমা শাসকের কাছে। মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে রোগীর বাড়ির লোকের নাম্বার বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করি। ঘাটাল বঙ্গবাসী ক্লাবসহ আরও কয়েকটি ক্লাবকে বলায় তারাও চেষ্টা চালায় ওই গ্রুপের রক্ত জোগাড়ের জন্য। রক্তদান আন্দোলনের সাথে যুক্ত শপথকুমার চক্রবর্তী, শিবু ডোগরাও খোঁজ চালান ওই গ্রুপের রক্তদাতা খুঁজতে। সন্ধ্যায় ঘাটাল হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত দে যখন মহকুমা শাসককে বলেন রোগীটিকে এক ইউনিট এ নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয়েছে। এখন আরও এক ইউনিট রক্ত লাগবে কিন্তু স্টকে ওই গ্রুপের রক্ত নেই। তখন ঘাটালের কয়েকজন তরুণতুর্কি যুবক ডোনার তাপসবাবুর খোঁজ দিলেন। তাপসবাবুকে বলা মাত্রই তিনি তৎক্ষণাৎ রক্ত দিতে রাজি হয়ে যান। এসডিও অফিসের গাড়িতে করেই তাঁকে আনার ব্যবস্থা করা হয়। সুমনবাবু বলেন, আজ এই তরুণ তুর্কীরা একজন মায়ের প্রাণ বাঁচলেন। ঈশ্বর প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করবেন তাপস পাত্র, বিট্টু দাস, অতনু বিশ্বাস আর খান ভাইদের। এই তরুণ তুর্কীদের জন্য আমার গর্ব হয়। একই সঙ্গে মহকুমাশাসক ঘাটাল মহকুমায় নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত যাঁদের আছে তাঁদের তালিকা তৈরি রাখার নির্দেশ দেন। ওই তালিকাই জরুরিকালীন সময়ে রোগীর প্রাণ বাঁচাবে।