মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: [মন্দিরা মাজির ফেসবুক👉 https://www.facebook.com/mandira.maji.7140] নাগরিকত্ব ও নাগরিকদের কাছে সংবিধানের গুরুত্ব এই থিম এবার ভারতের সংবিধান দিবস পালিত হচ্ছে সারা দেশে নাড়াজোল রাজ কলেজে এসে জানালেন ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস। আজ ২৬ নভেম্বর এই দিনটি জাতীয় সংবিধান দিবস এবং জাতীয় আইন দিবস হিসাবেও পালিত হয়। প্রকৃতপক্ষে, ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ তারিখে, সংবিধান গৃহীত হয়েছিল এবং জাতির জন্য উৎসর্গ করা হয়েছিল। এর পরে এটি ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে বাস্তবায়িত হয়। এই বিশেষ দিনটি পড়ুয়াদের নিয়ে একেবারেই অন্যভাবে পালন করল দাসপুরের নাড়াজোল রাজ কলেজ।
পাঠ্য বইয়ের প্রথম পাতা খুললেই আমাদের চোখে পড়ে আমাদের দেশ তথা ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনার কথা। স্বাধীনতার দু’বছর পর ১৯৪৯ সালে আজকের দিনেই ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা গ্ৰহণ ও বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল। সংবিধানের জনক ড. বি আর আম্বেদকর। ২০১৫ সালে তাঁর ১২৫ তম জন্মদিবসের দিন থেকে সারা ভারতে আজকের দিনটিকে জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা আসছে। সেই উপলক্ষ্যেই আজ শনিবার জাতীয় সংবিধান দিবস দিনটিকে মর্যাদার সঙ্গে পালন করল নাড়াজোল রাজ কলেজ। স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের যে সমান অধিকার রয়েছে তা আজকের দিনেই ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় গৃহীত হয়েছিল। একে অপরের সঙ্গে গড়ে উঠবে ভ্রাতৃত্ব ভাব, নারী-পুরুষ উভয়েরই থাকবে মতপ্রকাশের সুযোগ, সবার মধ্যে থাকবে স্বাধীন চিন্তাভাবনা করার অধিকার এমনই একাধিক বিষয় গৃহীত হয়েছিল আজকের দিনেই।
নাড়াজোল রাজ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. রণজিৎকুমার খালুয়া বলেন, ভারতের সংবিধানের প্রতি নিষ্ঠা এবং সংবিধানের জনক ড. বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়েছে আজ। ভারতের নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব, যা ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় গৃহীত হয়েছিল, সংবিধানের আইনকানুন এই বিষয়গুলি ছাত্রছাত্রীদের আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া হল এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল আজ। আজকের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য অতিথিরা।
প্রধান আলোচক ড. হাইত সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার দিকগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তথ্যসহকারে বিশ্লেষণ করে দেখান। আজকের দিনে কোন পথে এই বৈষম্য, দারিদ্র দূরীকরণ ও অপরাধপ্রবণতা থেকে নাগরিক সমাজ মুক্ত হতে পারে। তিনি জাতপাত ও বৈষম্যবিহীন সমাজ গড়ে তুলতে ছাত্র, শিক্ষক সহ বিভিন্ন অংশের মানুষদের যত্নবান ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা গড়ে তুলতে আহ্বান জানান। ইকুয়াল অপরচুনিটি সেলের পক্ষে অধ্যাপিকা প্রজ্ঞা পারমিতা মণ্ডল এই ধরনের কর্মসূচি সফল করার জন্য অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষা কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।