কুমারেশ চানক: ঘাটালের ঝুমি নদীর দুই তীরে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। একপারের মানুষকে নানা কারণেই অন্যপারের মানুষের উপর নির্ভর করতে হয়। স্কুল-কলেজ, বাজার-হাটে আসা ছাড়াও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনে মনশুকা, প্রসাদচক, কামারডাঙা, ফতেপুর, দৌলতচোখ, মেঠেলা, খাসবাড়, শ্রীমন্তপুর, কোমরা, বালিডাঙ্গা সহ আরও অনেক গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন একাধিকবার একপার থেকে অন্যপারে যাতায়াত করতে হয়। যেহেতু এই এলাকায় ঝুমি নদীর উপর আজ পর্যন্ত কোনও ব্রিজ গড়ে ওঠেনি তাই এখানকার মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র উপায় অস্থায়ী বাঁশের পুল বা নৌকা। প্রতি বছরই বর্ষার সময় বাঁশের অস্থায়ী পুল ভেঙে যায়, তখন কয়েক মাস নৌকায় করেই পারাপার হতে হয় এলাকাবাসীকে। এবছরও জলের তোড়ে ঝুমি নদীর উপর সাতটি বাঁশের পুল ভেঙে গিয়েছে। তাই এখন তাঁদের শেষ সম্বল বলতে রয়েছে লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি মনশুকার বেরারঘাটের পুল। তবে ওই পুলটি এই চলতি বছরেই তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত থেকে অনুমোদন নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পাকাপোক্তভাবে ওই ব্রিজটি তৈরি করার পরিকল্পনা নেয়। এখন মারুতি সহ অন্যান্য ছোট চার চাকার গাড়িও অনায়াসেই পারাপার হতে পারে ব্রিজটির উপর দিয়ে। এছাড়া সন্ধ্যার পর পুলের উপর পথবাতির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।পড়ন্ত বিকেলে স্থানীয়রা ব্রিজের উপর নিয়মিত আড্ডাও জমান। বর্ষার জলের তোড়ে যখন এলাকার বাকি বাঁশের পুলগুলির তথৈবচ অবস্থা, সেই সময় এই নতুন তৈরি ব্রিজটি বহালতবিয়তে দাঁড়িয়ে। স্থানীয়দের কাছে এটিই এখন মনশুকার ‘হাওড়া ব্রিজ’।