সৌমেন মিশ্র ও ইন্দ্রজিৎ মিশ্র: আজ রবিবারের সকাল থেকেই চাঞ্চল্য দাসপুর থানার কোল্মীজোড় ব্রিজ সংলগ্ন কোল্মীজোড় ও কুঞ্জপুর এলাকায়। কাঁসাই নদীতে জ্বালানি সংগ্রহ করতে নেমে কোল্মীজোড় ব্রিজের ঠিক নীচে স্থানীয় এক বাসিন্দার নজরে এলো এক দেবী মূর্তির মাথা। নদীর জল ও বালির মধ্যে ছিল মূর্তির বাকি অংশ। ঘটনা জানাজানি হতেই শতাধিক মানুষের ভিড় জমে ওই এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি ওই মূর্তি মা মনসার। নদী থেকেই উঠেছে এই মূর্তি। প্রায় ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় নদীর জলে নেমে বালি খুঁড়ে ওই মূর্তি নদী থেকে বাঁধে তুলে আনেন গ্রামবাসীরাই। শুরু হয় পূজা অর্চনা। নদীতে নেমে যিনি এই মূর্তি প্রথম দেখেন তাঁর নাম নিমাই ভুঁইয়া, বাড়ি কুঞ্জপুর। তিনি জানান, তাঁর পক্ষে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা সম্ভব নয়। তাই গ্রামবাসীরাই ওই বাঁধের ধারেই ওই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে মনসা মন্দির বানাতে চান। বেলা বাড়তেই এলাকায় বাড়তে থাকে ভক্তদের ভিড়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অর্থ সংগ্রহ। তবে দাসপুরের কোল্মীজোড়ে কাঁসাই নদী বক্ষ থেকে মনসা মূর্তি উঠে আসার ঘটনাকে মানতে নারাজ ঘাটাল জুড়ে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এবং বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনার প্রচারে যিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন সেই দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই দেবী মূর্তি উঠে আসার ঘটনা হয় সাজানো, নয়তো নদীর জলে ওই মূর্তি কোনও ভাবে ওই স্থানে এসেছিল। আজ কোনওভাবে ওই ব্যক্তির নজরে এসেছে। মূর্তিটি দেখে প্রাথমিকভাবে ভাবে মনে হয়েছে সিমেন্টের তৈরি। তাই এটি কোনও প্রাচীন মূর্তিও নয়।