নিজস্ব সংবাদদাতা, স্থানীয় সংবাদ: ঘাটালের ছাত্রের উদ্ভাবনী মডেল ইন্দোনেশিয়ায় ওয়ার্ল্ড [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] ইনভেনশন প্রতিযোগিতায় প্রথম ৫০ জন ফাইনালিস্টদের মধ্যে স্থান করে নিল। শুধু তাই নয়, ওই মডেলটি রাজ্যের মধ্যে ‘সিনটিলা-২০২২’-এর প্রথম পুরস্কারটিও ছিনিয়ে নেয়। ওই ছাত্রের নাম অনিরুদ্ধ হাজারি। অনিরুদ্ধ কলকাতার টেকনো ইন্ডিয়া কলেজ অফ টেকনোলজির বি.টেক-র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ওই কলেজে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলি-কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অনিরুদ্ধ পড়াশোনা করছে। অনিরুদ্ধর বাড়ি ঘাটালের মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনগর গ্রামে, এবং নতুক বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির থেকে মাধ্যমিক ও বরদা বাণীপীঠ হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে সে। অনিরুদ্ধর বাবা কৌশিক হাজারি গ্রামেই চাষবাস করেন। মা রূপা হাজারি গৃহবধূ।
সম্প্রতি অনিরুদ্ধের নেতৃত্বে পূর্ব বর্ধমান এবং হাবড়ার দুজন ছাত্র মিলে ওই প্রোজেক্টটিকে কার্যকর করে তোলে। প্রোজেক্টটি মূলত প্লাস্টিক থেকে পেট্রোল, ডিজেল এবং সমস্ত পেট্রোলিয়াম পণ্য সেইসঙ্গে এলপিজি গ্যাসের চেয়েও বেশি কার্যকর গ্যাস উৎপাদন করতে পারবে বলে দাবি ওই ছাত্রদের। অনিরুদ্ধ বলে, এটি সবচেয়ে সফল ব্যবসায়িক মডেল এবং আমাদের ভারতে এটি একটি অনন্য উদ্ভাবন প্রকল্প। বতর্মানে আমাদের দেশে পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি একটি গুরুতর সমস্যা। এই প্রকল্পটি ব্যবহার করে পেট্রপণ্য এবং এলপিজির দামে আমরা লাগাম টানতে পারব। অনিরুদ্ধদের এই উদ্ভাবনী মডেল পেটেন্টের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনোভেশন সেল-এও নির্বাচিত হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে অনিরুদ্ধরা ইন্দোনেশিয়াতে ওই প্রতিযোগিতায় যাবার প্রস্তুতি শুরু করেছে। ঘাটাল থেকে এই ধরনের কৃতিত্ব পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি অনিরুদ্ধর বাবা-মা ও আত্মীয় পরিজনেরা।