কাজলকান্তি কর্মকার[https://linktr.ee/Kajalkanti]:এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হোম সেন্টার পড়েছিল। মানে যে স্কুলে তারা পড়াশোনা করেছে সেই স্কুলেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফাইনাল পরীক্ষার আসন পড়েছিল। যদিও উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের থেকে বয়সে দু’বছরের ছোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আসন অন্য স্কুলে পড়েছিল, তা সত্ত্বেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হোম সেন্টার হওয়ার পেছনে কী কারণ ছিল তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননি।
এবারে ঘাটাল মহকুমার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার নাম করে যে ‘ছেলে খেলা’ হয়েছে বিভিন্ন স্কুল থেকে পাওয়া তথ্যই তা প্রমাণ করছে। প্রত্যেক স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ‘দেখভাল’ করার জন্য একজন করে সরকারি প্রতিনিধি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি ছাত্রছাত্রীদের টুকে বা দেখে পরীক্ষা দেওয়ার দেদার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
—সমস্ত ছোট প্রশ্নের উত্তর বেশিরভাগ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
—বহু স্কুলে পরীক্ষার্থীদের বই এবং সহায়ক বই দেখে উত্তর লেখার জন্য পরীক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয়েছে।
—মহকুমার বহু স্কুল ইংরেজির অনেক প্রশ্নের উত্তরও হলের বোর্ডে শিক্ষক-শিক্ষিকারা লিখে দিয়েছিলেন।দাসপুর-২ ব্লকের সোনাখালি হাই স্কুলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি স্কুল অবশ্য নিয়ম মেনেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল বলে খবর এসেছে।
এই ভাবে নিজেদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের বেশি নম্বর পাওয়ানোর জন্য টুকলি করার ‘প্রকারন্তে প্রশিক্ষণ’ দেওয়াটা কতটা ঠিক করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একে তো করোনা পরিস্থিতির জন্য বিগত দু’বছরে শিক্ষা ব্যবস্থা যা হয়েছে সেটা সচেতন অভিভাবক-অভিভাবিকারাই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তার উপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের এভাবে টুকলি, নোট, বই দেখে পরীক্ষার উত্তর লেখা শিখিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কী বার্তা দিতে চাচ্ছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। হ্যাঁ, এতে হয়তো ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অপ্রত্যাশিত ভাবে অনেক বেশি নম্বর পাবে। শুধুমাত্র নম্বর পাওয়ানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের এভাবে সততার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়াটা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কতটা ঠিক হচ্ছে সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। [ছবিটি প্রতীকী]
Home এই মুহূর্তে শিক্ষা/সাহিত্য/সংস্কৃতি HS Exam: ঘাটাল মহকুমায় বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাই পরীক্ষার্থীদের টুকলি করা শেখাচ্ছেন