‘স্বাধীনতা সংগ্রামে ঘাটাল মহকুমা’
—উমাশঙ্কর নিয়োগী
“In history it is almost impossible to be original without being wrong”
•স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রিয় বিচরণভূমি মেদিনীপুর জেলা। খ্যাত-অখ্যাত বহু বীর দুরাচারী শাসকের বিরোধিতায়, পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনে সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন প্রয়োজনে শহিদ হয়েছেন। বহু শত বর্ষ ধরে মেদিনীপুরের রাঙা মাটি শত শত শহিদের রক্তে আরও রক্তিম হয়ে উঠেছে । মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমাও একই গৌরবে গৌরবান্বিত।
১২০৪ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার-উদ্দিন-বখতিয়ার-খিলজি লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে বঙ্গ জয় করেন। কিন্তু মেদিনীপুর জেলায় পরবর্তী একশো বছরেও মুসলমান আধিপত্য স্থাপিত হয়নি। এখানকার স্বাধীন নৃপতিবর্গ প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ‘বাহার-ঈস্তান-ঈ-ঘয়েরি’ গ্রন্থ থেকে জানা যায় সম্রাট জাহাঙ্গীরের(১৬০৫ খ্রিঃ – ১৬২৬ খ্রিঃ) আমলে বিদ্রোহী স্বাধীনচেতা রাজাদের মধ্যে চন্দ্রকোণার বীর ভান, চন্দ্র ভান এবং বরদার জমিদার দলপতও ছিলেন। দিল্লির তখতে তাউসে তখন শ্রেষ্ঠ সেনাপতি সম্রাট ঔরঙ্গজেব (১৬৫৮খ্রিঃ-১৭০৭ খ্রিঃ)। তাঁর প্রিয়ভাজন বর্ধমান রাজ কৃষ্ণরাম রায়। বরদার ক্ষুদ্র জমিদার শোভা সিংহ মোঘল সম্রাটকে খাজনা দেওয়া বন্ধ করে সম্রাটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। কেবল তাই নয় ১৬৯৫খ্রিস্টাব্দে সসৈন্যে কৃষ্ণরামের রাজধানী আক্রমণ করেন এবং তাঁকে হত্যা করে নিজেকে বর্ধমান অধিপতি রূপে ঘোষণা করলেন। বর্ধমানে শোভা সিংহের রহস্যময় মৃত্যু হয়। রাজ্যচ্যুত শোভা সিংহের কাকা মহা সিংহ বিদ্রোহের ধারা অব্যাহত রাখেন। ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে ‘মহাবালা’ প্রান্তরে বরদা ও চন্দ্রকোণার মিলিত সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে মোঘল মদত পুষ্ট বর্ধমান রাজের সৈন্যবাহিনীর যুদ্ধ হয়। পরাজিত বরদা গড়কে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় বর্ধমান সৈন্য।
বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব মীর কাসিমের (১৭৬০খ্রিঃ-১৭৬৩খ্রিঃ) আমলে গভর্নর ভ্যান্সিটার্টের শর্তানুসারে মেদিনীপুরে কর আদায়ের ক্ষমতা পায় ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। নিষ্কর জমিতে কর বসানো বেশি কর আদায় ইত্যাদি কারণে প্রজা অসন্তোষের সূত্রপাত হয়। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে মোঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের কাছ থেকে বাংলার দেওয়ানির সাথে আভ্যন্তরীণ শাসন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পায় ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। জমিদারদের পাইকরা কাজ হারাল। তাদের নিষ্কর জমিতে বসল কর। বিক্ষুব্ধ পাইকরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুরের সন্ন্যাসী এবং ফকিররা বিদ্রোহী হয়। ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড একদল গোরা সৈন্য নিয়ে ক্ষীরপাইয়ে বিদ্রোহ দমন করতে আসেন। ক্ষীরপাইয়ের কাছে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে যুদ্ধ হয়। সন্ন্যাসীদের নেতা ছিলেন স্বামী শিবানন্দ। ‘পৃথিবীর ইতিহাস’ রচয়িতা দুর্গাদাস লাহিড়ীর মতে স্বামী শিবানন্দ মস্তারাম বাবাজি নামে হাওড়াতে আত্মগোপন করেছিলেন। শিবানন্দের কৌশলের কাছে পরাজিত হয়ে ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড ফিরে যান। এই ঘটনা ইতিহাসে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল। সমস্ত জমিদারি কোম্পানির অধীন এলে খাস জমিতেও কর বসল। জমিদাররা বিদ্রোহী হলেন। কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি, রাইপুরের রাজা দুর্জন সিংহ, বগড়ির জমিদার যদু সিংহ, দাসপুরের উত্তর ধানখালের গোবর্ধন দিকপতি প্রমুখেরা নেতৃত্ব দেন পাইক বিদ্রোহীদের। ১৭৯৮- ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের এই বিদ্রোহ ইতিহাসে পাইক বিদ্রোহ বা চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত। কর্নেল ওকেলির নেতৃত্বে সৈন্য বাহিনী গনগনির মাঠে বিদ্রোহীদের পরাজিত করে এবং দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করার জন্য যুদ্ধ বন্দিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। গোবর্ধন দিকপতির ফাঁসি হয়। যদু সিংহের সেনাপতি অচল সিংহ সাঁওতাল শবর লোধা বাউরিদের সংগঠিত করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। কঠোর হস্তে ইংরেজ সরকার এই বিদ্রোহ দমন করে। এই বিদ্রোহ নায়েক বিদ্রোহ বলে ইতিহাসে খ্যাত। ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সরকার যুগল ও কিশোর নামে দুই বিদ্রোহীকে ফাঁসি দেয় চন্দ্রকোণার কাছে ফাঁসি ডাঙার মাঠে। নায়েক বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হল। প্রতিবাদে সারা ঘাটাল মহকুমায় কারো বাড়িতে রান্না হয়নি। বিপ্লবী শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর দিদি বাড়ি হাটগেছিয়ায়। দাসপুরের সঙ্গে ক্ষুদিরামের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ক্ষুদিরাম হ্যামিল্টন স্কুলে পড়ার সময় তাঁর সহপাঠী ছিলেন চাঁদপুরের গৌরীশংকর সেন। গৌরীশংকরের দাদা আলিপুর বোমা মামলার আসামী পূর্ণচন্দ্র সেন ক্ষুদিরামকে মেদিনীপুরে হেমচন্দ্র কানুনগো সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রভৃতি বিপ্লবীদের সঙ্গে পরিচিত করেন। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে হাটগেছিয়ার সংলগ্ন গ্রাম সিমলার দিঘির পাড়ে ডাক লুন্ঠন করেন ক্ষুদিরাম। এই জেলার বিদ্রোহীদের শায়েস্তা করার জন্য কার্জনকে জেলা দু’টুকরো করার পরামর্শ দিলেন ফ্রেজার। সেই ফ্রেজারকে হত্যা করার জন্য নারায়ণগড় স্টেশনের কাছে ডহরপুরে রেললাইনে মাইন পাতে বিপ্লবীরা। তারিখ ছিল ১৯০৭খ্রিস্টাব্দের ৬ই ডিসেম্বর। মাইন যথা সময়ে ফাটেনি। সারা ভারতে এটি ছিল বিপ্লবীদের প্রথম মাইন বিস্কোরণ। কলকাতার চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিসেট্রট মিঃ কিংসফোর্ড সুযোগ পেলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তুচ্ছ কারণে গুরুদণ্ড দিতেন। কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে ১৯০৮খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল মজঃফরপুরে বোমা ছুঁড়েন ক্ষুদিরাম বসু আর প্রফুল্ল চাকি। এই কারণে ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয় ওই বছরের ১১ আগস্ট। ওই দিন ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্বতীচরণ ঘোষের নির্দেশে ছাত্ররা খালি পায়ে জামা না পরে স্কুলে আসে। শিক্ষক মশাইরা চাদর গায়ে খালি পায়ে স্কুলে এসে ছিলেন। সারা দেশের সঙ্গে ঘাটাল মহকুমাও শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ লবণ আইন অমান্য করার জন্য গান্ধীজি সবরমতী থেকে ঊনআশি জন অনুগামী নিয়ে ডান্ডির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ৬ এপ্রিল আইন ভঙ্গ করে লবণ তৈরি করেন। দাসপুরের শ্যামগঞ্জে লবণ সত্যাগ্রহীরা লবণ তৈরি করে। ৩ জুন চেঁচুয়া হাটে অত্যাচারি দারোগা ভোলানাথ ঘোষ ছোট দারোগা অনিরুদ্ধ সামন্তকে হত্যা করে জনতা। দুটো মাস্কেট কেড়ে নেয়। পরদিন এক বিরাট পুলিশ বাহিনী এসে হাজির হয়। চলে মূলত এলাকার পুরুষদের উপর অত্যাচার পীড়ন। তখন মেদিনীপুরের ডিএম মিঃ পেডি। এডিএম আব্দুল করিম। পেডির নির্দেশে আব্দুল করিম পুলিশ ইন্সপেক্টর মিঃ লোম্যান সহ চেঁচুয়া হাটে ক্যাম্প করে ছিলেন। ৬ জুন পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এক বিশাল জনতা সমবেত হয়। পুলিশ গুলি চালায় ফল স্বরূপ তেমুয়ানির চন্দ্রকান্ত মান্না, শয়লার শশিভূষণ মাইতি, জালালপুরের কালীপদ শাসমল মোহনমাইতি চকের ভৃগুরাম পাল, জোতভগবানের দেবেন্দ্রনাথ ধাড়া, খাড়রাধাকৃষ্ণপুরের সতীশচন্দ্র মিদ্দা ও পূর্ণচন্দ্র সিংহ, জোতশ্যামের রামচন্দ্র পাড়ই, পাঁচবেড়িয়ার নিতাইচন্দ্র পোড়্যা, বাঁশখালের অবিনাশ দিণ্ডা ও সত্য বেরা, আর মোহন মাইতি এই চোদ্দজন শহিদ হন। বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে বন্দি ও মৃতদেহ ফেলে পুলিশ ক্যাম্প ছেড়ে পালায়। দারোগা হত্যা আর পুলিশ ক্যাম্প আক্রমণ দুই ঘটনার আসামীদের স্পেসাল ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়। চূড়ান্ত বিচারে কাননবিহারী গোস্বামী,সুরেন্দ্রনাথ বাগ, যোগেন্দ্রনাথ হাজরা, শীতল ভট্টাচার্য, পার্বতীচরণ দিণ্ডা প্রমুখের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়। মৃগেন্দ্র ভট্টাচার্য, কালাচাঁদ ঘাঁটির সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। আরও বহু জনের জেল জরিমানা হয়েছিল।
বিপ্লবীরা এর প্রতিশোধ নিয়েছিল। ঢাকা শহরে হত্যা করে লোম্যানকে। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে ৭ এপ্রিল বিমল দাসগুপ্ত ও জ্যোতিজীবন ঘোষ গুলি করে হত্যা করেন মেদিনীপুর জেলা ম্যাজিসেট্রট মিঃ পেডিকে। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল। দাসপুরের দুই বীর বিপ্লবী রাজনগরের শহিদ প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য এবং খাঞ্জাপুরের প্রভাংশেখর পাল হত্যা করলেন মেদিনীপুরের ডিএম মিঃ ডগলাসকে। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরে ডিএম মিঃ বার্জ নিহত হলেন অনাথবন্ধু পাঁজা আর মৃগেন্দ্রনাথ দত্তের ছোঁড়া গুলিতে। পর পর তিন জন ম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করার ফলে মেদিনীপুর জেলা জুড়ে পুলিশ কারণে অকারণে যুবশক্তিকে জেলে ভরছিল। কিন্তু ঘাটালের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাকে তারা নষ্ট করে দিতে পারেনি। বরং নতুন প্রজন্ম পুরানোর সাথে যোগ দিয়ে ধারাকে পুষ্ট করে তোলে।
নাড়াজোলের রাজবাড়ি বংশপরম্পরায় স্বাধীনচেতা। এই বংশের চুনিলাল খাঁন থেকে প্রাক্ স্বাধীনতা যুগের নরেন্দ্রলাল খাঁন, দেবেন্দ্রলাল খাঁন, রবীন্দ্রলাল খাঁন সবাই দেশ প্রেমিক ছিলেন। দেবেন্দ্রলাল কংগ্রেসের বঙ্গীয় প্রদেশ কমিটির কোষাধ্যক্ষ হয়েছিলেন। তাঁর অনুরোধে ১৯৩৮খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র বসু ঘাটালের দূর্বাচটির মাঠে জনসভা করেছিলেন। নাড়াজোলেও জনসভা করেন। এই রাজ পরিবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অকাতরে অর্থ, বল, বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করেছেন। জাড়ার সাতকড়িপতি রায় নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য পদ পেয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি এক সময়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতিও ছিলেন। এঁর দাদা কিশোরীপতি রায় অসহযোগ আন্দোলনের সাঁইত্রিশ হাজার সদস্যের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। ইনি ১৯৩৭খ্রিস্টাব্দে নির্বাচনে জিতে আইন সভার সদস্য হন। পাইকানদুর্যোধনের হৃষিকেশ পাইন, রাধাকান্তপুরের মোহিনীমোহন দাস, স্বদেশরঞ্জন দাস, সাহাচকের বিনোদবিহারী সামন্ত, সোনাখালির মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রকোণার লক্ষ্মণচন্দ্র সরকার, নাগেশ্বরপ্রসাদ সিংহ, রাধারমণ সিংহ, কোন্নগরের হরিসাধন পাইন, মনোতোষণ রায়, গোছাতির অরবিন্দ মাইতি, কলাইকুণ্ডুর ভবানীরঞ্জন পাঁজা, শয়লার বঙ্কিমবিহারী শাসমল, ঘাটালের হরেন্দ্রনাথ দোলুই, সুরেন্দ্রনাথ অধিকারী, যতীশচন্দ্র ঘোষ,বাণেশ্বরপুরের ধর্মদাস হড়, ব্রাহ্মণবসানের মোহিনী মণ্ডল, ক্ষীরপাইয়ের অন্নদাপ্রসাদ চৌধুরী, প্রমুখ কংগ্রেসের নেতারা দেশমাতৃকার পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনে যুক্ত থাকার অপরাধে কারাবাস করেছেন তবুও পথ থেকে সরে আসেননি।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আমরা প্রায় ভুলেই গেছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সামান্য ভাতা ও তাম্রপত্র দিয়ে তাঁদের ঋণ শোধ করেছে সরকার। পাছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তুলনায় নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ হয়ে পড়ে সেই কারণে স্বাধীনতার পর থেকে যত দিন যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের বড় অংশ প্রাক্ স্বাধীনতা যুগের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন। জনসাধারণকে বলতে চান না। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে নবীন প্রজন্মের দেশপ্রেম জাগানোর জন্য তাদের কাছে এইসব শহিদের জীবনী এবং স্বার্থ ত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তবেই প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস পালন সার্থক হবে।
লেখক পরিচিতি: উমাশঙ্কর নিয়োগীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাঁদপুর গ্রামে। তিনি গবেষণা ধর্মী ও সাহিত্য বিষয়ক প্রতিবেদন লিখতে বেশি পছন্দ করেন। এক সময় তিনি দাসপুর-১ ব্লকের নন্দনপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এখন তিনি অবসরগ্রহণ করেছেন। তাঁর মোবাইল নম্বর: ৯৪৭৪৪৪৯০৯৯
➥ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন[লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।