ঘাটাল জুড়ে ডোঙা তৈরির কারিগরের আকাল

সৌমেন মিশ্র,’স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: ফি বছর বন্যায় ডোবে ঘাটাল মহকুমা। অনেক্ষত্রেই রাতে হঠাৎ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় এলাকা,সকালে দিনের আলো ফোটার অনেক পরে যোগাযোগের নৌকার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয় প্রশাসন। কালের নিয়মে ক্রমেই কমেছে এলাকায় নৌকা। প্লাবিত এলাকার অনেক পরিবারেই চল আছে ডোঙার ব্যবহার। যাতায়াত থেকে মাছ ধরা একাধিক কাজে ব্যবহার হয় এই ডোঙা। তবে এখন নতুন ডোঙা তৈরির ইচ্ছে থাকলেও ডোঙ্গা তৈরির কারিগরের অভাব ঘাটাল জুড়ে। ঘাটাল জুড়ে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন এই ডোঙা তৈরির কারিগর রয়েছেন। তাঁদের প্রায় সকলেরই বয়স ৬০ অতিক্রম করেছে। দাসপুরের সামাট গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব ডোঙা তৈরির কারিগর তারাপদ বিজলী জানাচ্ছেন এলাকায় প্রচুর চাহিদা আছে ডোঙার। এই বয়সেও তিনি বছরে ৩০ থেকে ৪০ টা পর্যন্ত ডোঙা বানাচ্ছেন। মূলত পরিপক্ক তাল গাছের গোড়ার অংশ মাটি খুঁড়ে তুলে তা কেটে কেটে বানানো হয় এই ডোঙা। ডোঙা বানাতে লাগে তিন ধরনের যন্ত্র। প্রতিদিন ৫০০টাকা কারিগরের খরচে প্রায় ৪ থেকে ৫ দিন লাগে একটি ডোঙা বানাতে। একটা ডোঙা বহু বছর চলে। ঘাটাল এলাকার পান্না ঢেঁকির ঘাটের বাসিন্দা হারু বর সম্প্রতি অনেক খোঁজাখুঁজি করে সামাটের এই কারিগর তারাপদ বিজলীর থেকে এক ডোঙা বানালেন। তিনি জানাচ্ছেন বর্ষার জল কিংবা বন্যার জলে পারাপার সাথে মাছ ধরা সব ক্ষেত্রেই তাঁদের গ্রামে ডোঙা ব্যবহারের চল।

 

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!