ফলহারিণী কালী পুজো —উমাশঙ্কর নিয়োগী

ফলহারিণী কালী পুজো
—উমাশঙ্কর নিয়োগী
জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম অবমাবস্যার মধ্যনিশায় দেবী কালীর শাস্ত্র সম্মত যে পুজো হয়ে থাকে তা ফলহারিণীকালী পুজো নামে পরিচিত। ফলহারিণীকালী পুজো প্রকৃত ভক্তের কাছে এক পরম পবিত্র লগ্ন। গৃহী ভক্তগণের দৃঢ় বিশ্বাস এই পুণ্যলগ্নে চিৎশক্তি স্বরূপা জগৎ জননীর ভক্তি সহকারে আরাধনা করলে, দেবীর কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করলে, তিনি নরনারীকৃত অশুভ কর্মের কর্মফল সমূহ হরণ করে নেন এবং প্রার্থীর অভীষ্ঠ পূর্ণ করেন। এছাড়া মাতৃসাধক মোক্ষকামী ভক্তরাও দেবীর কাছে শুভ অশুভ সর্বপ্রকার ফল হরণ করে নেওয়ার আকুতি জানান । গৃহস্থের অশুভ ফল এবং সাধকের শুভাশুভ ফল হরণ করে নেন বলে দেবী ফলহারিণী কালিকা নামে পরিচিত।
ফলহারিণীকালী পুজো উপলক্ষে কালীঘাট , তারাপীঠ এবং দক্ষিণেশ্বর সহ বিভিন্ন কালীমন্দিরে প্রভুত ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে । ভক্তগণ মাতৃ আরাধনায় অংশ নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন।গ্রীষ্মকালে বাংলায় আম , আনারস , কাঁঠাল্‌, লিচু,তরমুজ ,জাম্‌ জামরুল ইত্যাদি নানাবিধ ফলের মরশুম। এই সমস্ত ফলদিয়ে ফলের মালা গেঁথে তারা পীঠে দেবীকে সাজানো হয়ে থাকে। চিরাচরিত প্রথা অনুসারে অনেকে ফিলহারিণী কালীপুজোর সময়ে তারা মায়ের কাছে অভীষ্ঠ পুরণের মানত করে কোনো একটি ফল খাওয়া ত্যাগ করেন , পরে দেবী তার মনোকামনা পূর্ণ করলে সেই ফলের মালা দিয়ে দেবীর কাছে মানসিক শোধ করেন। দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মন্দিরেও এই দিন বিশেষ পুজো হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত স্মরণ করা যায়, ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামকৃষ্ণ ফলহারিণী কালীপুজোর দিনই দক্ষিণেশ্বরে জগজ্জননী সারদাকে দশমহাবিদ্যার ষোড়শী রূপে আরাধনা করেছিলেন। সেই সময় থেকে এইদিনে দক্ষিণেশ্বরে বিশেষ পুজো চলে আসছে।
দাসপুর থানার খেপুত উত্তর বাড়ের ;গোপীগঞ্জ কালীপূজা কমিটি’ র দাবী অনুসারে তাঁদের ফলহারিণী কালী পুজো ৪১৪ বছর পুর্ব থেকে চলে আসছে। দাসপুর থানার সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ফলহারিণী কালী পুজো এটি। ১২০৮ বঙ্গাব্দে তথা ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত দেবীর মন্দিরটি জীর্ণদশা প্রাপ্ত হলে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে।নব নির্মিত মন্দিরটির দ্বারোদ্ঘাটন করেছিলেন বেলুড় মঠের স্বামী আত্মদীপানন্দ মহারাজ। পাথুরে প্রমাণকে পুজো শুরুর সময় ধরে নিলে দেবী আরাধনা ২২৪ বছর ধরে চলে আসছে। এক সময় দাসপুর থানার প্রধান প্রবেশদ্বার ছিল গোপীগঞ্জ । দেশবিদেশের সাথে রপ্তানি আমদানির প্রধান বাণিজ্যপথ রূপনারায়ণ নদের জলপথ ছিল। শিক্ষায় , সংস্কৃতিতে ও সম্পদে খেপুত সমৃদ্ধ হয়েছে এই কারণে। একেবারে নদীর ধারে দেবীর পুজো হচ্ছে পূর্বে সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে হাট বসত।জনশ্রুতিতে এই দেবীকে ঘিরে নানা অলৌকিক কাহিনি প্রচলিত আছে। শাস্ত্রমতে ফলহারিণীকালী পুজোর দিন মধ্য রাত্রেই এখানে মাতৃ আরাধনা শুরু হয়ে থাকে। পরের দুদিনও ধুমধাম সহকারে মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়। বলি প্রথা প্রচলিত আছে । তিন দিনই মায়ের কাছে বলি হয়ে থাকে। পুজো কমিটির সভাপতি সম্মানীয় বসুদেব কুণ্ডু বললেন বর্তমানে পুজোর বাজেট দশ লক্ষাধিক টাকার মতো। আরো জনালেন, পুজোরব রাত্রিতে দেবীকে তেঁতুলপাতার মালা পরানো এবং হাতে নানাবিধ ফল দেওয়া হয়। তেঁতুলপাতার মালা এখানকার পুজোর ব্যতিক্রমী বোশিষ্ট্য । পুরুষানুক্রমে পৌরোহিত্য করে আসা জয়কৃষ্ণপুরের সুশান্ত মজুমদার জানালেন তাঁরা শ্মশানে দেবী সিদ্ধাকালী মূর্তিতে পূজিত হন বলে ফলহারিণীকালী তথা দক্ষিণাকালীর ধ্যান ‘ ক্রীং করালবদনাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাং / কালিকাং দক্ষিণাং দিব্যাং মুণ্ডমালাবিভূষিতাম্‌ ।।“ ইত্যাদি ধ্যান মন্ত্রে এখানে দেবী আরাধিত হন না , তাঁরা “ ওঁ অঞ্জনাদ্রি নিভাং দেবীং শ্মশানালয় বাসিনীম্‌।/ রক্তনেত্রাং মুক্তকেশীং শুষ্কমাংসাতিভৈরবাং।। ইত্যাদি মন্ত্রে পুজো করে থাকেন।
•তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করেছেন বসুদেব কুণ্ডু , সৌমেন চট্টোপাধ্যায় , সুশান্ত মজুমদার , কান্তি রায় , মহাদেব চক্রবর্তী ।
বাসুদেবপুর শ্মশানকালী ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ পুজো শুরু । দিনের বেলার পুজো । শ্মশানকালী পুজোর আগের দিন গ্রামস্থ শীতলা ও জয়চণ্ডী দুর্গা মন্দিরে বিশেষ পুজো হয়। দুই মন্দিরেই বারোয়ারি পুজো উপলক্ষে শুরুর সময় থেকে চলে আসা ছাগ ও মহিষ বলিদান প্রথা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে বাসুদেবপুর বারয়ারি শ্মশানকালী মাতার পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট উঁচু পঞ্চরত্ন মন্দির এবং সামনে একটি প্রশস্ত পাকা নাটমন্দির পঁচিশ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে নির্মিত হয়েছে। দাসপুর থানায় এতবড় বারোয়ারি মন্দির আর নাটমন্দির আর কোথাও নেই। দেবীর পুজো ঝাঁকজমক সহকারে হয়ে থাকে ।পুজো দুদিন আশিটির বেশি ঢাক সহ নানাবিধ বাদ্যের সমারোহে মন্দির প্রাঙ্গণ মুখরিত থাকে। কালীমাতার কাছে দ্বিশতাধিক ছাগ ও একটি মহিষ বলি হয়। পুজো উপলক্ষে একটি সাত দিনের মেলা বসে। শ্মশানকালী ধ্যানমন্ত্রে দেবীর পুজো হয় । পৌরোহিত্য করেন চক্রবর্তী বংশের শ্রীজীব চক্রবর্তী , তন্ত্রধারক থাকেন ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ।
তথ্য সহায়তা শ্রীজীব চক্রবর্তী , আনন্দ খাঁ , ভোলানাথ রায় ।
সেকেন্দারি শ্মশানকালী ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত । জনশ্রুতি শবসাধনায় সিদ্ধ তান্ত্রিক রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সন্তানাদি হচ্ছিল না তিনি ফলহারিণী কালীপুজোর দিন সেকেন্দারীতে শ্মশানকালীর পুজো আরম্ভ করেন। এই সূত্রে চট্টোপাধ্যায় বংশ দেবীর সেবাইত। পরে পরে এটি সেকেন্দারি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বারোয়ারিতে পরিণত হয়েছে । করনার সময় বাদ দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দেবীর পুজো চলে আসছে। সেকেন্দারি বারোয়ারিতে একপক্ষ কালের অধিক দেবীর নিত্য সেবা ও সন্ধ্যারতি হয়। চালকাড়াই ভাজা ও অন্নভোগ দানের পর দেবীর বিসর্জন হয় । পুজোর দিন ছাড়াও মাটি তোলার দিন ছাগ বলির ব্যবস্থা আছে । পুজোর দিন দেড়শাতাধিক ছাগ বলি হয়।নিষ্ঠা সহকারে ফলহারিণীকালী পুজো দিনের বেলাতেই সম্পূর্ণ হয়ে যায়। বারোয়ারিতে বংশ অনুসারে পুজো সংক্রান্ত কর্ম বিন্যাস পুরুষানুক্রমে চলে আসছে। বারোয়ারি মন্দির প্রাঙ্গণে পুজো উপলক্ষে একটি ছোটখাটো মেলা বসে । পুজোতে বহু ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে । পূর্বে খানাকূল থেকে চট্টোপাধ্যায় বংশের কুলগুরু পূজকের আসনে বসতেন । পৌরোহিত্য মুখার্জী পরিবারের । এঁদের কেউ একজন তন্ত্রধারক থাকেন । বর্তমানে পূজক ভুবন চক্রবর্তী ।
তথ্যা সংগ্রহে সাহায্য করেছেন রবীন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , অমলেন্দু চক্রবর্তী , ভুবন চক্রবর্তী , মলিন মুখার্জী ।
রাজনগর ঢোল এর বর্গক্ষত্রিয় পাড়ার ফলহারিণীকালী পুজো। রাজনগরের বর্গক্ষত্রিয় পাড়ার মানুষজন মনে করেন এখন থেকে প্রায় শদুয়েক বছর পূর্বে তাঁদের চাটি তথা বস্তিতে কলেরা ব্যাধি মহামারি আকারে দেখা দেয়। পাড়ার বহুজনের অকাল মৃত্যু ঘটে। মহামারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠগণ ফলহারিণীকালী পূজো করতে বলেন । সেই থেকে মায়ের পুজো ধারাবাহিক ভাবে চলে আসছে । রাজনগরে ফলহারিণী কালীর পুজো দুশো বছর পূর্ব থেকে হয়ে আসছে তার প্রমাণ সাপেক্ষে কিছু হাজির করা না গেলেও ১৯১৪ -১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রস্তুত সরকারি মৌজার নক্সায় ৯৯৮নম্বর দাগটি কালী মন্দির হিসেবে চিহ্নিত আছে । তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, নিশ্চয় এর বেশ কিছু বছর পূর্ব থেকে পুজোটি চলে আসছিল । রাজনগর পশ্চিম বন্যা প্রবণ এলাকা । প্রতি বছর বন্যার জলে প্লাবিত হয়ে যায়। এক সময়ে খেটে খাওয়া বর্গক্ষত্রিয়দের পক্ষে পাকা মন্দির তৈরি করা সম্ভব হয়নি। প্রথম দিকে প্রতি বছর তালপাতায় ছাওয়া তালপাতা দিয়ে ঘিরা মন্দিরে মায়ের পুজো হত। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হত না । শশিভূষণ দোলই মায়ের মন্দির ও আটচালা করার জন্য নিজের রায়তি জমি দান করেন। তাই শশিভূষণ দোলইয়ের বংশধর পুরুষানুক্রমে সেবাইত হিসেবে আছেন। বর্তমানের সেবাইত বংশীবদন এই বংশের উত্তরাধিকারী। ১৯৪৩-৪৪ খ্রিস্টাব্দে পাকা মন্দির তৈরি হয়। বর্তমান বর্ষে সেই মন্দিরটি ভেঙে প্রায় দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে নোতুন মন্দির নির্মিত হয়েছে । বংশপরম্পরায় পৌরোহিত্য করে আসছেন কিশোর পুরের চক্রবর্তী পরিবার । এই পরিবারের সদস্য জয়ন্ত জানালেন , তাঁরা শ্মশানকালীর ধ্যান মন্ত্রে দেবীর পুজো করেন। প্রায় বারোফুট উঁচু দেবীর মূর্তিতে কোনো ছাঁচ ব্যবহার করা হয় না। দেবীর সঙ্গে ডাকিনী যোগিনী মূর্তি হয়। দেবীর মধ্য রাত্রির পুজোয় বলি প্রথা আছে। শতাধিক ছাগবলি হয়। পুজোর দিন ষোলটি ঢাক সহ নানাবিধ বাদ্যযন্ত্রের শব্দে মন্দির প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে থাকে। রাজনগর বর্গক্ষত্রিয় পাড়ার প্রধান উৎসব ফলহারিণীকালী পুজো । পুজো উপলক্ষে প্রতি বাড়িতে যেমন প্রচুর আত্মীয় সমাগম হয় তেমনি বহু দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত এই জাগ্রত মাতৃ পুজো দর্শনে আসেন। পুজোর সূচনা লগ্ন থেকে পুজো উপলক্ষে মায়ের মন্দির প্রাঙ্গণে কবি গানের আসর বসে আসছে। জানি না হয়তো বর্গক্ষত্রিয় পাড়ার কোনো এক বিখ্যাত কবিই এই প্রথার প্রচলন করে গিয়েছেন। দেবীর জলাশয়ে বিসর্জন হয় না , বন্যার জলেই দেবীর বিসর্জন হয়ে যায়।
তথ্য সহায়তায় সৌমেন মিশ্র, নিখিলেশ ঘোষ প্রমুখ ।
সুরতপুর শ্মশানকালী ফলহারিণী কালীপুজোর আগের দিন সাবিত্রী চতুর্দশীতে সুরতপুরে শ্মশান কালীর বারোয়ারি পুজো । প্রচলিত বিশ্বাস ১৮১৭ খ্রিঃ – ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে সুন্দরপুর গ্রামে কলেরা মহামারি আকারে দেখা দেয় । সুন্দরপুর পরে সুরতপুর নামে পরিচিত হয়েছে। গ্রাম প্রায় উজাড় হতে বসে। সুরতপুর শ্মশানে এক সন্ন্যাসী কিছু দিনের জন্য আশ্রয় নিয়ে ছিলেন ।মহামারি থেকে গ্রামকে রক্ষা করার জন্য তিনি গ্রামের চোদ্দজনকে ডেকে সাবিত্রীচতুর্দশীর দিন শ্মশানকালীর পুজো করতে বলেন। সেই সময় থেকে সুরতপুরে বারোয়ারি কালীপুজো শুরু হয়। দেবীর নামে সামান্য ভূসম্পত্তি আছে। সেবাইত হিসাবে আছেন শ্যামপদ ভূঁইয়া । পূর্বকাল থেকে পুজোর দিন দেবীর কাছে দুটি ছাগ ও একটি ভেড়া বলি দিতে হয়। দেবী যাত্রা শুনতে ভালোবাসেন বলে পুজো উপলক্ষে কমপক্ষে একদিন যাত্রার আসর বসাতেই হয়। সুদূর অতীত থেকে এই প্রথা চলে আসছে। ভীম চক্রবর্তী বংশপরম্পরায় পৌরোহিত্য করে আসছেন।
বিষ্ণুপদ মণ্ডল , বিশ্বজিৎ জানা ।
লাউখানা রক্ষাকালীর পুজো সাবিত্রী চতুর্দশীর দিনে লাউখানার রক্ষাকালী পুজো শতাধিক বৎসর পূর্ব থেকে হয়ে আসছে। লোকমুখে শোনা যায় ভীমাচরণ চক্রবর্তী , চিন্তামণি খাঁন , দুলাল সিদ্ধান্ত , গোষ্ঠ জানা , দেবীপ্রসাদ সামন্ত, যোগীন্দ্রনাথ বেরা প্রমুখ কতিপয় বালক দ্বারা সাবিত্রীচতুর্দশীর দিন মায়ের পুজোর সূত্রপাত হয়। পরে এটি বারোয়ারি পুজোতে পরিণত হয়েছে। শ্মশানকালীর ধ্যানমন্ত্রে দেবীর আরাধনা হয়ে থাকে। লাউখানার চক্রবর্তী পরিবার পৌরোহিত্য করেন। দেবীর একপক্ষ কাল নিত্য পুজোর পর বিসর্জন হয়। বলি প্রথা নেই।
তথ্য সহায়তা শম্ভু চক্রবর্তী , মহাদেব চক্রবর্তী ।
জয়কৃষ্ণপুর ফলহারিণীকালী পুজোর দিন শ্মশানকালীর পুজো । পুঁটে বারোয়ারি নামে পরিচিত জয়কৃষ্ণপুরে মায়ের আরাধনা দীর্ঘ বৎসর পূর্বে শুরু হয়েছে। এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন কালীপদ রায় । ইনি কালী রায় নামে সমধিক পরিচিত ছিএলন তিনি নিজের জায়গাতে মায়ের মন্দির করে মায়ের পায়ে গন্ধপুষ্প দেবার মতো অর্থ সামর্থের অধিকারী হয়েও অকুণ্ঠ চিত্তে জনসাধারণের সহায়তা গ্রহণ করেছেন। মায়ের মন্দির সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। শ্মশানকালীর ধ্যান মন্ত্রে দেবীর পুজো হয়ে থাকে। বলি প্রথা আছে। পঞ্চাশটির বেশি ছাগবলি হয়ে থাকে। মায়ের পৌরোহিত্যে আছেন শম্ভু চক্রবর্তী । বংশপরম্পরায় জয়কৃষ্ণপুরের চক্রবর্তী পরিবার মায়ের পৌরোহিত্যে নিযুক্ত আছেন । বর্তমানে পূজক মহাদেব চক্রবর্তী ।
তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করেছেন মলিন মুখার্জী , সোমনাথ রায় ।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

‘স্থানীয় সংবাদ’ •ঘাটাল •পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১২১২ •ইমেল: [email protected] •হোয়াটসঅ্যাপ: 9933998177/9732738015/9932953367/ 9434243732 আমাদের এই নিউজ পোর্টালটি ছাড়াও ‘স্থানীয় সংবাদ’ নামে একটি সংবাদপত্র, MyGhatal মোবাইল অ্যাপ এবং https://www.youtube.com/SthaniyaSambad ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।