নিজস্ব সংবাদদাতা: পড়ুয়াদের নৈতিক শিক্ষা ও অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে পঠন-পাঠনের জন্য ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম দিলেন এক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। দাসপুর-২ ব্লকের সীতাপুর গ্রামে ওই ব্যক্তির নাম শ্যামসুন্দর বেরা। সরস্বতী পুজোর সময় ওই সামগ্রীগুলি তিনটি স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। স্কুলগুলি হল- ওই ব্লকের গোমকপোতা গুণধর বিদ্যামন্দির, সীতাপুর দক্ষিণপাড়া ক্ষীরোদা হাঁড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আজুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। গোমকপোতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বুড়াই বলেন, প্রত্যেক স্কুল গড়ে ৭০-৭৫ হাজার টাকার সামগ্রী পেয়েছেন।
শ্যামসুন্দরবাবু নিজে বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেননি। তাই ছোট বেলাতেই রুজির জন্য সোনার কাজকে বেছে নিতে হয়েছিল। শ্যামসুন্দরবাবু বলেন, আমি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখেছি বর্তমান প্রজন্মের পড়ুয়াদের মধ্যে শ্রদ্ধাশীলতা অনেকটাই কম। আমি চাই প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক পঠন-পাঠনের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার বিষয়টিও চালু হোক। ইন্টারনেটের সাহায্যে বহু ক্লিপিং পড়ুয়াদের দেখিয়ে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব হবে। সেজন্যই আমার এই উদ্যোগ। আমি আমার দাদু শীতলচন্দ্র বেরার স্মৃতিতেই ওই সামগ্রীগুলো দিয়েছি। আজুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে একটি করে ল্যাপটপ, একটি করে প্রোজেক্টর এবং একটি করে স্ক্যানার-কাম-প্রিন্টার দেওয়া হয়েছে। সুব্রতবাবু বলেন, আমাদের স্কুলকেও শ্যামসুন্দরবাবু সিসি ক্যামেরার সেট এবং একটি প্রোজেক্টর মেশিন দিয়েছেন। ওই সামগ্রীগুলি আমাদের অত্যন্ত কাজে লাগবে। •ছবিটি শ্যামসুন্দর বেরার।