সৌমেন মিশ্র:দাসপুরের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সুরতপুর গ্রামে ১ দিনেই নতুন করে করোনায় সংক্রমিত ৪ জন বলে জানা গেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকার ডাঃ নিমাই মন্ডল ২৭ তারিখ রাতে যে করোনা রিপোর্ট পেশ করেন তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। ২৬ এপ্রিল সুরতপুর গ্রামের মোট ৮জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে দাসপুর গ্রামীন হাসপাতাল থেকে পাঠানো হলে দেখাযায় তাদের মধ্যে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত।
তবে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বুধবার দিনভর মাইক প্রচারের মাধ্যমে করোনা বিষয়ে সচেতন করা হল। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দোকান মালিকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনা বিধি মেনে বেচাকেনা করতে। গ্রামের সিভিক,ও আশাকর্মীদের পাশাপাশি ভি আর পি রা আক্রান্তদের অবস্থার দিকে নজর রেখে নিয়মিত দাসপুর পুলিশ ও দাসপুর ১ ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরকে অবগত করে চলেছেন।
তবে মূল সমস্যা ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৩টি হাট নিয়ে। এলাকায় রাজনগর,হরিরামপুর এবং দাদপুরে সপ্তাহে দুদিন করে হাট বসে। এলাকা কৃষিপ্রধান হাটগুলিতে আশপাশের বহু কৃষক তাদের কৃষিজাত শাক সব্জি নিয়ে হাটে হাজির হচ্ছেন,সে সমাগম প্রচুরভাবে করোনা সংক্রমণের অনুকূল।
হাট কমিটিগুলিকে যদিও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাটে আগত প্রতেকেরই মাস্ক বাধ্যতামূলক কিন্তু তা হলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে তো আর হাটবাজার হয়না! আবার এই হাট বন্ধ হলে হাজার হাজার কৃষকের পেটে টান পড়বে নষ্ট হবে সব্জি ফসল। কপালে ভাঁজ প্রশাসনেরও। তবে এলাকার সচেতন নাগরিকদের মত,সপ্তাহের নির্দিষ্টদিন হাট না বসিয়ে হাট বসুক প্রত্যেকদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত। তাতে জমায়েত কমবে,হাটের হুড়োহুড়ি থাকবে না আবার কৃষক তার ফসলের দামও পাবে।