আশিস সামন্ত: লেখার সময় পাইনি অনেকদিন। আজ একটু সময় পেয়েছি। তাই একটা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ভারতের মোট উৎপন্ন বিদ্যুতের ৭০ শতাংশ আসে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলি থেকে। বিদ্যুৎ তৈরী হয় কয়লা পুড়িয়ে।ভারত পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম কয়লা ভান্ডার। আবার একই সঙ্গে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা আমদানিকারক দেশ। সেই ভারতের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলিতে শুরু হয়েছে কয়লার অকাল।ইন্দোনেশিয়া থেকে যে কয়লা আসতো এবছরের মার্চেও তার দাম পড়তো টন প্রতি ৬০ ডলার, সেপ্টেম্বরে সেই দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ ডলার। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে সবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিদ্যুতের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু অত্যধিক বৃষ্টির জন্যে কয়লা খনি গুলিতে উৎপাদন কমেছে। সেখানেও জমা কয়লা তেমন কিছু নেই। কোল ইন্ডিয়া অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর কাছে টাকা পায়। তারা হাত তুলে দিয়েছে। বেশ কিছু কয়লাখনি আর্থিক এবং সুরক্ষার কারণে বন্ধ। ২০১৫ সালে কয়লার যোগান বাড়বে এই আশায় সরকার বেশ কিছু খনি নিলাম করেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি।মাটির নিচে যথেষ্ট কয়লা মজুত থাকলেও অধিকাংশ কয়লা খনির আধুনিকীকরণ না হওয়ায় চাইলেই উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়।বিদ্যুৎ উৎপাদন যদি মার খায়, তাহলে সিমেন্ট, স্টিল থেকে শুরু করে নির্মাণ শিল্প সবাই মার্ খাবে। দাম ও বাড়বে।করোনার মহামারীতে অক্সিজেনের যে নাভিশ্বাস উঠেছিল। আজ ভারত বিদ্যুতের সেই আকালের মুখোমুখি।