নিজস্ব সংবাদদাতা,স্থানীয় সংবাদ,ঘাটাল: রাতভর প্রবল বৃষ্টি,চন্দ্রকোনায় নদীর জল উপচে ডুবলো যাতায়াতের একমাত্র ভরসা কাঠের একাধিক সেতু,চলছে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত,সেতু বাঁচাতে হাত লাগিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
বৃহস্পতিবার এমনই বিপদজনক কাঠের সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াতের ছবি দেখা গেলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুর,ঘোষকিরা ও ধরমপোতা এলাকায় শিলাবতী নদীর উপর থাকা কাঠের সেতুগুলিতে।
ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে চৈতন্যপুর ও ধরমপোতা এলাকায় শিলাবতী নদীর উপর দুটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। ব্লকের ভগবন্তপুর-১ ও ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রামের পাশাপাশি ওই দুটি সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন পাশ্ববর্তী হুগলি জেলার বেশকিছু গ্রামের মানুষেরা। শিলাবতী নদীর জল এতোটাই বেড়ে যায়, যার জেরে দুটি কাঠের সেতুর উপর দিয়ে বিপদজনক ভাবে জল বইছে। এদিন দেখা যায়, স্থানীয় বেশকিছু গ্রামের মানুষ স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাথে হাত লাগিয়ে সেতু দুটি বাঁচাতে হাত লাগান। ওই সেতুর উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায় সাইকেল,মোটর সাইকেল সহ নিত্যযাত্রীদের। ডুবে যাওয়া সেতু দুটির উপর দিয়ে বিপদজনক ভাবে যাতায়াতে
যেকোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দূর্ঘটনা। প্রতিবছর বর্ষায় শিলাবতী নদীর জল বাড়লেই এমন চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের, বন্ধ হয়ে পড়ে যোগাযোগ। ওই এলাকায় নদীর উপর দীর্ঘ দিন ধরে একটি কংক্রিট ব্রিজের দাবি জানিয়ে আসলেও তার কোনও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। ওই এলাকায় একটি স্থায়ী কংক্রিট ব্রিজ তৈরি করা হোক দাবি স্থানীয়দের। সমস্যার কথা স্বীকার করে ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইকবাল সরকার জানান, রাতের প্রবল বৃষ্টিতে নদীর জল বাড়ায় পঞ্চায়েত এলাকার চারটি কাঠের সেতুই জলের তলায়। পারাপারে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাত থেকেই লোক লাগিয়ে সেতুগুলি বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য নজরদারি চলছে।