সৌমেন মিশ্র, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: রক্ত,কেউ কি জানত, এই রক্তের গ্রুপ হয়? অতি প্রয়োজনীয় এই ব্লাড গ্রুপের আবিষ্কারক অস্ট্রিয়ান-আমেরিকান জীববিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার। রক্তের গ্রুপের এই আবিষ্কারক ১৮৬৮ সালের ১৪ জুন অর্থাৎ আজকের দিনেই ভিয়েনায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে এই ১৪ জুনকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। রক্তদান জীবন দান সবাই আমরা আজকাল জেনেছি, বুঝেছি এর কদর। কিন্তু জানেন কি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির করে দাসপুর ছাড়িয়ে সারা রাজ্যে সাড়া ফেলেছে দাসপুরের রাজনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইচ্ছে ডানা? ২০২১ এর মাঝামাঝি থেকে ২০২২ এর আজকে অর্থাৎ এই ১৪ জুন পর্যন্ত এই সংস্থা নিজেই ১৪ টি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে? না, জানার কথা নয়। কারন গ্রাম বাংলার এই সব সংস্থার কদর প্রশাসনের চৌহদ্দি পর্যন্ত অনেকক্ষেত্রেই পৌঁছায়না। তবে সংস্থার অন্যতম সদস্য বিশ্বজিৎ জানা জানাচ্ছেন, তাঁরা টিম ইচ্ছেডানা সংকল্প নিয়েছেন রক্তের অভাবে তাঁরা একটি মানব জীবনকেও সংকটে ফেলবেন না। সালটা ২০২১ মাসটা এই জুন মাসই। দাসপুরের সুরতপুর প্রগতী সংঘের সাথে যৌথভাবে প্রথম রক্তদান শিবির। আর ফিরে দেখা নয়। স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি ইচ্ছেডানার সদস্যরা এককভাবেও সম্পর্কের বাঁধন নয়, রক্তের টানে মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিতে ছুটে গেছেন। আজ এই বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের দিনও দাসপুরের রাজনগরে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির করেছে এই ইচ্ছে ডানা। দাসপুরের অপর এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কুইজ ও ম্যানিয়ার অন্যতম সদস্য সন্দীপ দে ইচ্ছে ডানার রক্তের জন্য যে দৌড় তাকে কুর্নিশ জানান। তিনি এলাকাবাসীদের রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে বলেন,আমি ১৭ বছর বয়সের পর থেকেই রক্তদিতে শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত ২৮বার রক্তদান করেছি। আজ এই ইচ্ছেডানার এই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে এসে আমি আপ্লুত। ইচ্ছেডানার পক্ষে পুলক আদক জানান,চোখের সামনে গ্রামের অনেক মানুষকে তার প্রিয়জনকে হারাতে দেখেছি এক ফোঁটা রক্তের জন্য। আর আজ আমাদের আবেক এই রক্ত।