স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কিছু কথা…

সঙ্গীতা ঘোড়ই: প্রথমেই ৭৩ বছরের স্বাধীনতার অভিনন্দন। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে আমরা, ভারতীয়রা স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম। প্রসঙ্গত, ‘স্বাধীনতা লাভের ৭৩ বছর কেটে গেলেও আমরা সত্যিই কি স্বাধীন’ এমন চিন্তা বা মন্তব্য যে বা যারা করেন এবং সকল ভারতবাসীর উদ্দেশ্যেই বলছি একটা কথা মাথায় রাখবেন গত ৭৩ বছর আগে আমরা ইংরেজদের অধীন থেকে নিজের দেশের অথরিটি-র অধীনে এসেছি এবং আমাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে আমরা কার অধীনে থাকব তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার। সমাজ আর রাজনীতির দোহাই দিয়ে নিজের কর্তব্য থেকে সরে আসলে হবেনা। “বিন্দু বিন্দু তেই তো সাগর,” এক একটা বিন্দু সাগরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেরকমই আমরা সবাই এই সমাজের অংশ আমাদের নিয়েই তো রাজনীতি। আপনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা-র অপ্রয়োগ করবেন না। কেউ একজন বলল ‘এই রাজনীতি ভালো না এরা এই খারাপ কাজ করেছে, ওই রাজনীতি ভাল ওরা এত ভালো ভালো কাজ করছে’ তার কথার সাপেক্ষে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা বন্ধ করুন। কারো মতে মত না দিয়ে সঠিক তথ্যের সন্ধান করে নিজে বিচার বিবেচনা করুন আপনি কার অধীনে থাকবেন। ‘আমি একা কি বা করতে পারি, সবাই এগিয়ে না এলে একা কিছু করা কি সম্ভব’—এমন যারা ভাবেন তাদের আবারো বলবো ওই যে বললাম বিন্দু বিন্দুতেই সাগর, হোক না সবার ভিন্ন ভিন্ন মত কিন্তু তাও নিজের মতেই চলবেন। অন্যের মতকে অন্ধের মত বিশ্বাস করবেন না। সবসময় বিচার বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন। ভুললে চলবে না আমরা সেই বীরের সন্তান যারা ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল। শুধু সমাজকে দোষ দিয়ে চুপ করে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। সমাজে হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে আপনাকেই।
স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরও সমাজে নারী নির্যাতন, বধূ নির্যাতন, ধর্ষণ, অ্যাসিড অ্যাটাক এর মতো ঘৃণ্য অপরাধ কিছু নিকৃষ্ট জাতের প্রাণী রমরমিয়ে করে যাচ্ছে। আর আমরা মোমবাতি হতে নিয়ে কয়েকদিন মিছিল করে আবার যেই কে সেই। মিছিল করতে হবে কেন? এটা তো আমি আপনি যার অধীনে আছি তার দেখার বিষয়, আমরা মিছিল করি বা না করি। এইসব অপরাধ যারা করছে তারাও তো সমাজেরই অংশ! তাই এই জঘন্য ও ঘৃণ্য অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে হলে সমাজকে শিক্ষিত করতে হবে, চিন্তা ধারাই পরিবর্তন আনতে হবে। যেকোনো বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা, শিক্ষা যাতে থাকে সেই উপযোগী তথ্যের সরবরাহ হতে হবে সমাজে। স্কুলে ইতিহাস-ভূগোল, গণিত-বিজ্ঞান এর পাশাপাশি পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট, কি করা উচিত ও অনুচিত কারণসহ শিক্ষার্থীদের ব্যাখ্যা করতে হবে, সেক্স এডুকেশন দিতে হবে যাতে এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয় শিক্ষার্থীদের। তবেই দেশে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। কারণ শিক্ষার্থীরা আগামীর ধারক ও বাহক। তাদের এই শিক্ষা প্রদান করা হলে তারা সমাজে তার প্রচার করবে।সঠিক শিক্ষা প্রদান হলেই ওরা ভবিষ্যতে সামাজিক পরিবর্তন আনতে এবং সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। আর এসবই সবই সম্ভব হবে যখন আপনি বিচার বিবেচনা করে আপনার ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ করবেন। সমাজের পরিবর্তন উন্নয়ন আপনার হাতেই।। আপনি সত্যিই স্বাধীন কিনা তা আপনিই বলুন। নিজের মতে চলেন নাকি অন্যের মতে অনুপ্রাণিত?
[বি.দ্র: এটি আমার সম্পূর্ণ নিজস্ব ভাবনা, কোনো প্রতিবেদন না। তাই এই লেখা পরকালীন আমায় একজন সাংবাদিক হিসেবে না দেখে বরং আপনারই মত একজন সাধারন মানুষ এবং দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে দেখবেন যে তার ভাবনা প্রকাশ করেছে এই লেখার মাধ্যমে। আপনারা আপনাদের মতামতও দিতে পারেন।]

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

‘স্থানীয় সংবাদ’ •ঘাটাল •পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১২১২ •ইমেল: ss.ghatal@gmail.com •হোয়াটসঅ্যাপ: 9933998177/9732738015/9932953367/ 9434243732 আমাদের এই নিউজ পোর্টালটি ছাড়াও ‘স্থানীয় সংবাদ’ নামে একটি সংবাদপত্র, MyGhatal মোবাইল অ্যাপ এবং https://www.youtube.com/SthaniyaSambad ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।