সৌমেন মিশ্র:কাঠের সেতুর একাংশ ভেঙে ঝুলছে। যাতায়াতে চরম সমস্যায় একাধিক গ্রামের মানুষ।ভেঙে ঝুলে পড়া সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত আবার কৃষিকাজের জন্য নদীর উপর কৃষকদের তৈরি অস্থায়ী রাস্তা দিয়েও যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।দ্রুত সেতু মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।
ঘটনা চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা গ্রামের। গ্রামে শিলাবতী নদীর উপর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি কাঠের সেতুটির বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের,সম্প্রতি এই সেতুর একাংশ ভেঙে ঝুলছে।ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সাইকেল মোটরসাইকেল,যেকোনো মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা।এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত ভগবন্তপুর ১ ও ভগবন্তপুর ২ নম্বর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮-১০ টি গ্রামের বাসিন্দাদের।
শিলাবতী নদীর একপ্রান্তে রয়েছে ঘোষকিরা,কোল্লা,খুড়শি,ধরমপোতা অপরপ্রান্তে রয়েছে কেশেডাল,ভগবন্তপুর,খিরাটি,ভৈরবপুর সহ একাধিক গ্রাম।এলাকাবাসীর দাবি,ঘোষকিরা গ্রামের বাসিন্দা সহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের এই কাঠের সেতু পেরিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্য্যালয়,স্কুল কলেজ থেকে হাসপাতাল,বাজারহাট যেতে হয়।দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি,গত বন্যায় দু-দুবার নদীর জল বেড়ে ঢুবে গিয়েছিল সেতুটি,এমনকি পানার চাপে জলের তোড়ে সেতু ভেঙে পড়া আটকাতে হাত লাগিয়েছিল ঘোষকিরা গ্রামের বাসিন্দারা।
কিন্তু সেতু মেরামতে গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে দাবি এলাকাবাসীর। ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা ও চৈতন্যপুর এই দুই এলাকায় শিলাবতী নদীর উপর স্থায়ী কংক্রিট ব্রীজের দাবি দীর্ঘ দিনের,সেই ৮০ র দশক থেকে স্থানীয় প্রশাসন থেকে জেলা ও রাজ্য স্তরে লিখিত আবেদন জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী,বাম আমল থেকে তৃণমূল জমানায় এখনও স্থায়ী সেতু নির্মাণ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেই প্রশাসনের দাবি এলাকাবাসীর।
এবিষয়ে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক জানিয়েছেন,”গ্রাম পঞ্চায়েত সেতুটি মেরামত করবে।ইতিমধ্যে আমরা জেলায় একটি প্রপোজাল,চিঠি পাঠিয়েছি,ওই এলাকায় শিলাবতী ও কেঠিয়া খালের উপর দুটি আরসিসি ব্রীজ তৈরির প্রপোজাল জেলা থেকে আমাদের চিঠি করা হয়েছে,আবাসের কাজটা মিটলেই আমরা স্থায়ী ব্রীজ তৈরির সার্ভের কাজ শুরু করে দেবো।”