নিজস্ব সংবাদদাতা, স্থানীয় সংবাদ: ঋতুস্রাব মেয়েদের স্বাভাবিক ঘটনা, একে নিয়ে এত ছুতমার্গ করার কোনও কারন নেই। বিশ্ব নারীদিবসকে সামনে রেখে মেয়েদের মাসিক সম্পর্কে স্বাস্থ্যসম্মত সচেতনতা এমনই এক অভিনব কর্মসূচি নিল ঘাটালের মিলয়ীনি সংস্থার সদস্য সদস্যারা। ৬ মার্চ নাড়াজোল অমরেন্দ্র লাল খাঁন বালিকা বিদ্যালয়ে’র সপ্তম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীদেরকে ভিডিও প্রোজেক্টরের সাহায্যে মাসিক বা ঋতুস্রাব সম্পর্কে সচেতনতা করেন তাঁরা। পিরিয়ডের সময় কী কী করনীয় ও কী বর্জনীয় সে সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারণা দেওয়া হয়। অনিয়মিত পিরিয়ড কী সে বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ, তার কারণ ও প্রতিকার বা চিকিৎসা, বর্তমানে ৯০ শতাংশ মহিলাদের যে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান (পিসিওএস) -এর সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা, অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত দ্রব্যাদি ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান ও সবশেষে সচেতনতা বহাল রাখতে ছাত্রীদের ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়। তার আগে কিছু হাতে আঁকা পোস্টার ও পিপিটি সহযোগে বিশ্ব নারী দিবস উদযাপন করা হয়। ‘নারীর ক্ষমতায়ন’-এর দৃষ্টান্ত স্বরূপ মিলয়ীনি’র সদস্যা খেয়া দাস তাঁর নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, Fusion Dance Academy- এর পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এমএইচএম (মেনস্ট্রুয়াল হেলথ অ্যান্ড হাইজিন ম্যানেজমেন্ট) প্ল্যাটফর্ম। তাদের প্রতিপাদ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে মাসিককে জীবনের একটি স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই মিলয়ীনি’র এই উদ্যোগটি গৃহীত হয়েছে বলে জানান তাঁরা।