ইন্দ্রজিৎ মিশ্র, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: জামাইষষ্ঠীতে বৌমা ষষ্ঠী আধুনিক যুগে আকচার হয়, কিন্তু কন্যা ষষ্ঠী? আজ রবিবার জামাইষষ্ঠীর দিন ব্যতিক্রমী ঘটনা দাসপুর থানার সৈয়দ করিম গ্রামে। কন্যাষষ্ঠীর আয়োজন করলেন শাশুড়ি গীতা প্রামাণিক। আজ জামাইষষ্ঠী, বিবাহিতা কন্যাদের ময়েরা তাঁদের জামাইদের বিশেষ ভাবে বরণ করে ফোঁটা দিয়ে বিশেষ দিনটি পালন করেন। চলে উপহার আদানপ্রদান। এই প্রথার সামাজিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য, সেই বৈদিক যুগ থেকেই জামাইষষ্ঠী পালন হয়ে আসছে। এই জামাইষষ্ঠী প্রতিবছরই জ্যৈষ্ঠ মাসে ষষ্ঠী তিথিতে হয়ে থাকে। আমরা জামাইষষ্ঠী জানি। যেখানে শাশুড়ি মা জামাই খাতির করে থাকেন আবার বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলার অনেক বাড়িতেই বৌমা ষষ্ঠীও মহা ধুমধাম করে পালন করা হচ্ছে যেখানে শাশুড়িমা বৌমাকে পরম যত্নে ফোঁটা দিয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে আশীর্বাদ করেন। কিন্তু দাসপুরে এই প্রথম কন্যাষষ্ঠীর আয়োজন করেছেন গীতা প্রামানিক। বাড়ির কন্যা সুনিতাকে বরণের মাধ্যমে অতি মর্যাদার সাথে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কন্যা ষষ্ঠী। যেখানে আমাদের সমাজে এখনও এই একবিংশ শতাব্দীতেও মেয়েরা অবহেলিত, কন্যা ভ্রুণ হত্যা চলতে থাকে নির্দ্বিধায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেই বলুন সবক্ষেত্রেই মেয়েরা এখনও অনেক পিছিয়ে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বাড়ির কন্যা সুনিতাকে তার মা আদরের সাথে বরণ করে নিচ্ছেন। এরকম ভাবে যদি আমরা সবাই ভাবতে পারি তাহলে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকবে না।