শুভ্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ঘাটাল থানার বরদা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পারিবারিক দুর্গা পুজো শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ২৪৮ বৎসর আগে। ১৭৬৩ সালে নিষ্ঠাবান স্বাধী এলোকেশী দেবীকে স্বয়ং মা দুর্গা স্বপ্নাদেশ দিয়ে এই পুজোর প্রচলন করান। সেই থেকে এই পুজো নিষ্ঠার সাথে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। কথিত আছে এই গ্রামেরই চট্টোপাধ্যায় পরিবার মহামারির ভয়ে ভিটে ছেড়ে পালিয়ে যায়, কুলদেবী মা দুর্গা অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে থাকেন।তখনই মা স্বপ্নে দেখা দিয়ে এই পুজো করার নির্দেশ দেন।পারিবারিক ঐতিহ্য মেনে পঞ্চম পুরুষ পরিবারের পুজো যথারীতি ঢাক, ঢোল ও নহবৎ, মায়ের অন্নভোগ থেকে নানান পদ দিয়ে মায়ের নৈমিত্তিক সেবা পুজো করে আসছেন।বরদা গ্রামের রাজা শোভাসিংহের প্রতিষ্ঠিত মা বিশলাক্ষী মন্দিরের সন্ধি পুজোর বলিদানের তোপধ্বনি শুনে বলিদানের প্রচলন চলে আসছে।নবমীতে থাকে মায়ের অন্নভোগ ও কুমারী পুজো।পুজোর শেষে যঙ্গ হয়।দশমীতে শোভাযাত্রা সহকারে দেবীর নিরঞ্জন পরিবারেরই নির্দিষ্ট পুকুরে।প্রথা মেনে বিসর্জন দেখতে আসা ভক্তদের মায়ের শান্তিজল দেয়ার পর খিচুড়ি প্রসাদ বসিয়ে খাওয়ানো হয়। পরিবারের সকলেই যারা কাজের সূত্রে বিদেশে থাকেন, পুজোর সময় প্রত্যেকে বাড়ি আসেন ও আন্যান্য আত্মীয়স্বজন এই পুজো উপলক্ষে আনন্দ উপভোগ করার জন্য উপস্থিত থাকেন।বাড়ির ছেলেরা ও মেয়েরা সকলে আন্তরিক ভাবে পুজোর জোগাড় ও ভোগ তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন।