মনসারাম কর: কঠিন একটা পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে গোটা দেশ। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশ লকডাউন করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। বাপ ঠাকুরদার চৌদ্দ পুরুষ এই জিনিস কোনও দিন দেখেনি। লকডাউনের মুখ্য উদ্দেশ্য একটাই, প্রত্যেকের মধ্যে কয়েক দিনের জন্য সামাজিক দূরত্ব তৈরি করা। কিন্তু হাটে বাজারে একসাথে গাদাগাদি করে উৎসবের মেজাজে মানুষজন এমন কেনাকাটায় মত্ত, তা দেখে এটা মনে হতেই পারে, করোনা ভাইরাসের হাঁড়িটা বোধহয় এই হাটেই প্রথম ভাঙবে। কারণ ঘেঁষাঘেঁষি করে হাট বাজার করতে গিয়ে একজনের থেকে অন্যসকলের শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াটা স্বাভাবিক। আর এটা রুখতেই যে লকডাউন তা বুঝতে চাইছে না অনেকেই। করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ রুখতে দেশের সার্বিক ভালোর জন্য কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের হাতে লকডাউন ছাড়া এই মুহুর্তে দ্বিতীয় কোনও পন্থা নেই। কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ সরকারি নির্দেশমত গৃহবন্দি না থেকে নানা অছিলায় বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, চায়ের দোকানে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে, পাড়ায় পাড়ায় গ্রূপ করে খেলাধুলায় মেতে উঠছে, কিছুমানুষ আবার একটু অন্ধকার নামলেই মদের ভাটিতে মজে উঠছে। পুলিশ এটা ঠেকাতে গেলে অনেকে আবার ফঁস দেখাচ্ছে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। নানান ছল চতুরতার সাথে পুলিশকেও ভুল বোঝাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছেনা এই মারণ ভাইরাস একবার কোনও গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে গেলে দেশজুড়ে মড়ক লেগে যাবে। তখন হয়ত মৃতদেহ পোড়ানোরও লোক থাকবে না। আমাদের হাতে এখনও সময় আছে। ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে গেলে আমাদের সকলকে সরকারি নির্দেশমত এই মুহূর্তে গৃহবন্দি হতেই হবে।