ওয়েব ডেস্ক,ঘাটাল: এ মায়ের পুজোতে লাগেনা পুরোহিত এখানে আপনিই পুরোহিত।
নাম বড়মা। নামেই নয় দেখতেও বড়, প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার কালী মা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা টাউনের ক্ষীরপাই হালদার দীঘি এলাকায় পাওয়াযাবে বড় মাকে। ক্ষীরপাই পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের চিরকুনডাঙ্গায় ১৭ বছর ধরে এই পুজো চলছে।
শুধু চন্দ্রকোনা নয় জেলার মানুষও এই কালী মাকে বড়মা নামেই জানে।
ক্ষীরপাই এর বড়মার পূজোর অপেক্ষায় থাকে অগনিত মানুষ।পুজোর সময় স্থানীয় আশপাশের মানুষ ছাড়াও জেলার দুরদুরান্তের মানুষও ভিড় জমায় ক্ষীরপাই বড়মার পূজোয়।
শশ্মানকালী হলেও এ পুজোয় বলি হয়না।পুজোর পরের দিন হাজার হাজার মানুষ আসে মায়ের খেঁচুড়ি প্রসাদ পাওয়ার জন্য।
১৫ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এক শশ্মানে এই কালীর প্রতিষ্ঠা করেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুদ্ধদেব রায়।
প্রথমে মাটির তৈরী প্রতিমা চালায় পুজো হত,পরে ৪৫ ফুট উচ্চতার কংক্রীটের মায়ের মুর্তি নির্মান করেন তিনি। যা জেলা কেনো সারা রাজ্যেও এতো বড় মাপের কালী প্রতিমা নেই বলেই মত প্রতিষ্ঠাতার।
বড়মায়ের মন্দীরে থাকেনা কোনও পূজারী। ভক্তরা নিজেরাই নিজের মতো করে মায়ের পুজো দিতে পারে।
ভক্তদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয় মন্দীরের পুজো আর্চনার কাজ। ধূপ ও ফুল দিয়ে পুজো করলেই খুশী।
প্রতিদিন অসংখ্য ভক্তের সমাগম লেগেই থাকে।
বিশালাকার কালী মন্দীরের বৈশিষ্ট্য ভক্তদের নিষেধ আছে কোনও রুপ দক্ষিণা না দেওয়ার ক্ষেত্রে।
কোনও রুপ অার্থিক সাহায্য করা বা দক্ষিণা হিসাবে কোনও পয়সা দেওয়া যাবেনা মন্দীরে তা বিজ্ঞপ্তি আকারা লেখাও আছে।
পুরোহিত ছাড়া নিজের মত করে নিজের হাতে মায়ের পুজো করে মায়ের কাছে মনের কথা বলে ভীষণ তৃপ্তি পান ভক্তরাও।