ছাত্রছাত্রীদের নাড়াজোল রাজবাড়ি ভ্রমনের সুযোগ করে দিতে অনুদান দিচ্ছে সরকার!

ইতিহাসের একটি অধ্যায় লুকিয়ে রয়েছে দাসপুরের খান রাজাদের রাজপ্রাসাদে৷ বর্তমান রাজ্য সরকার ওই রাজবাড়িকে কেন্দ্র করে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন ইতিমধ্যে।

ছবি: স্বরাজ কুন্ডু

সেই মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ স্কুলগুলিতে সার্কুলার পাঠিয়ে শিক্ষামূলক ভ্রমণের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ সেই মত ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ স্কুলে অ্যাকাউন্টে পোঁছে দেওয়া হয়েছে৷ ২০০৮ সালে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন দাসপুরের ওই রাজবাড়িকে ‘হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছিলেন৷ একসময় নাড়াজোলের রাজা নরেন্দ্রলাল খানের রাজপ্রাসাদে, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের যাতায়াত ছিল।

দাসপুর-২ ব্লকের ছাত্রছাত্রীরা৷ছবি: রবীন্দ্রনাথ পড়িয়া

মহত্মা গান্ধী, নেহেরু,নেতাজি,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,শরৎচন্দ্রের মতো মনীষীদের এসেছিলেন রাজবাড়িতে। রাজবাড়ির সদস্যরাও একসময় স্বাধীনতা আন্দোলনেও অংশ নিয়েছিলেন। প্রাসাদ লাগোয়া জলহরি,হাওয়াখানা,চাঁপাবাগান সহ জায়গাগুলি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু৷ ঐতিহাসিক ওই রাজপ্রাসাদে সরকারের তরফে ছাত্রছাত্রীদের ভ্রমনের সুযোগ করে দেওয়ায় খুশি শিক্ষকমহল থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা৷

ছবি: স্বরাজ কুন্ডু


নাড়াজোল আর্কিওলজিক্যাল প্রিজার্ভেশন কমিটির সম্পাদক তথা রাজবাড়ির বর্তমান সদস্য সন্দীপ খান সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারি এই সিদ্ধান্তে ছাত্রছাত্রীরা দেশের ইতিহাস জানার সাথে সাথে, নিজের জেলায় লুকিয়ে থাকা ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবে৷ ইতি মধ্যে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ভ্রমণে আসছেন৷ তাদের সবরকম ভাবে তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছি৷

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!