২৫ তারিখ বড়দিনের সন্ধ্যে থেকে দাসপুর থানার আমডাঙরা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের পারদ এখনও উর্ধমুখী। অবস্থা সামালদিতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিস প্রশাসন। উভয় পক্ষের কেউওই একটুকরোও জায়গা ছাড়তে নারাজ। মারপিট,বাড়ি ভাঙা সাথে আগুন সব মিলিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা নিজ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন উত্তর বুথ আমডাঙরা এলাকায়।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার দুর্ঘটনা!স্বামী ও মেয়ের মৃত্যুর সাক্ষী হলেন মা
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানাগেছে, শিমুলিয়া, আমডাঙরা,নোনাসরেন,ঘোলসাই,ভাগীরথপুর,দেওয়ানচক এইসব এলাকায় বিজেপি তাদের সংগঠন মজবুত করেচলেছে। এসব এলাকা এতদিন তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত ছিল। ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে এখন তৃণমূল বিজেপি ছোটোখাটো ইস্যুতেও একে অপরের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে।
শিশুদের মধ্যেই ভগবান লুকিয়ে,সেই শিশুদেরই খুশি করে চলেছেন দাসপুরের বাবাজি
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সম্পাদক রাজু আড়ি বলেন,বিজেপির এত বিস্তার সহ্য করতে পারছে না এলাকার তৃণমূল নেতা নেতৃরা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। ২৫ তারিখ সন্ধ্যে থেকে তৃণমূলের লোকেরা আমডাঙরা গ্রামের একটি মাচায় পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই মাচায় বিশেষ করে আমাদের দলের সমর্থক ও কর্মীরাই আড্ডাদিত। আমাদের বেশকিছু সমর্থকের উপর হামলাও চালানো হয়। এই ঘটনায় কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছে। তাঁর অভিযোগ,পুলিসকে সঙ্গে নিয়েই এইসব ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল।
মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা
রাজু বাবু আরও জানান ওই রাতে তাদের সমর্থকদের ঘরবাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে, বিজেপি করে বলে আজ সকাল থেকে তাদের সমর্থকদের পানীয় জল বন্ধ। তাছাড়াও ওই একই দায়ে বাপন মণ্ডল,বিশ্বনাথ দোলই,কার্তিক দোলইয়ের মত দিন মজুরদের কাজ পর্যন্ত করতে দিচ্ছেনা তৃণমূল।
মোবাইলে নিয়মিত খবর পড়তে এইখানে ক্লিক করুন Whatsapp
তবে তৃণমূল এই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে। দাসপুর-১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্র বলেন,বিজেপিরই কিছু সমর্থক গত রাত থেকে আমাদের কর্মী সমর্থকদের মারধোর করছে। আমাদের তিনজন কর্মী আহত হয়েছে,তাদের চিকিৎসা চলছে। আজ আমাদের দলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। দাসপুর শান্ত এলাকা এখানে সন্ত্রাসের রাজনীতি জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।