মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: [মন্দিরা মাজির ফেসবুক👉 https://www.facebook.com/mandira.maji.7140] দাসপুরে উদ্ধার হল মরুভূমি এলাকার এক বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। সম্প্রতি দাসপুর-২ ব্লকের কামালপুর থেকে ওই কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘাটাল মহকুমা সোশ্যাল ফরেস্ট্রি রেঞ্জের রেঞ্জার অসিতবরণ মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের কচ্ছপ সচরাচর আমাদের এইসব এলাকায় দেখা যায় না। কারণ এরা জলে থাকে না। মরুভূমি এলাকার দিকে এই ধরনের কচ্ছপগুলি পাওয়া যায়। ইন্ডিয়ান স্টার প্রজাতির কচ্ছপ এটি। আমরা কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে বন দপ্তরের খড়্গপুর ডিভিশনে পাঠিয়েছি।
বন দপ্তরের ওয়াইল্ডলাইফ রিকোভারি টিমের দুই সদস্য মলয় ঘোষ এবং মেহেবুব আলম বলেন, কামালপুর গ্রাম থেকে আমাদেরকে ফোন করে বলা হয় ওই এলাকায় একটি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ ঘোরাঘুরি করছে। সেই খবর পেয়েই আমরা ওয়াইল্ডলাইফ রিকোভারি টিমের সদস্যরা সেখানে যাই এবং কচ্ছপটিকে উদ্ধার করি। আমাদের সঙ্গে ছিলেন দুই পরিবেশ কর্মী উমেশ গুঁই ও তাপস কর্মকার। মরুভূমি এলাকার কচ্ছপটি দাসপুরের মতো সমভূমি এলাকায় এলো কীভাবে সেটা বনদপ্তরের কর্মীরা বুঝতে পারছেন না। বর্তমানে মহকুমা জুড়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। হাটে বাজারে কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে কিনা তা নিয়ে নিয়মিত হানা দেওয়া হচ্ছে। তাই বন দপ্তরের কর্মীদের অনুমান, কেউ রাজস্থান এলাকা থেকে ওই কচ্ছপট নিয়ে বাড়িতে বেশ কিছু দিন ধরে পুষে ছিলেন। যেহেতু এই ধরনের কচ্ছপগুলি পুকুর বা খালে নামে না। বরবটি, কলাই শুঁটি, সব্জি জাতীয় খাবার খায় তাই বাড়িতে রাখতে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি বন দপ্তরের এই ধরপাকাড়ের ভয়েই কচ্ছপটি বাড়ি থেকে বার করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ কোনও ভাবে বাড়িতে ওই ধরনের কচ্ছপ রাখা আছে জানতে পারলে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি হতে পারে এই ভয়েই বাড়িতে কচ্ছপটি রাখার সাহস পায়নি বলে বনদপ্তরের কর্মীরা অনুমান করছেন। তা না হলে কোনও ভাবেই এই এলাকায় কচ্ছপটি আসার কথা নয়। বন দপ্তরর সূত্রে জানা গিয়েছে, কচ্ছপটিকে কয়েক দিনের মধ্যে ঝাড়গ্রামের মিনি জুতে পৌঁছে দেওয়া হবে।