শুভম চক্রবর্তী: বাঙ্গালির সাথে উৎসব যেন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত তেমনই বিভিন্ন উৎসবের সাথে বিভিন্ন খাবারও যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন মনসা পুজোর সাথে চাল কলাই ভাজা, দুর্গাপুজোর সাথে খিচুড়ি ভোগ ইত্যাদির মতো পাঁপড় ভাজা আর জিলিপি ছাড়া যেন বাঙালি রথের উৎসব কল্পনাই করতে পারেনা। করনার আতঙ্কের জেরে প্রশাসনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে দেশজুড়ে বিভিন্ন রথের মেলা ও উৎসবে। ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন রথ কমিটিগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন সাধারণ মানুষের জন্য রথ রাস্তায় না নামানো হয়। ঘাটাল মহকুমার প্রায় সমস্ত রথ কমিটিই সেই নির্দেশ মেনে চলছেন।ফলে মহাকুমার মানুষ এইবার বঞ্চিত থাকছেন রথের দড়িতে টান দিতেপারার থেকে। ঘাটাল শহরের বাজারবুড়ি শীতলামাতা রথ কমিটির সদস্য নেপাল চক্রবর্তী বলেন প্রশাসনের নির্দেশে এ বছর আমরা সাধারণ মানুষের জন্য রাস্তায় রথ নামাচ্ছি না তাই রথের মেলাও এ বছর বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।
কিন্তু তাই বলে কি বাঙালি নিজের খাদ্য রস কমিয়ে ফেলবে? রথের মেলা হোক বা না হোক জিলিপি কেনার উৎসাহে ভাটা কোনও ভাবেই নেই।সকাল থেকেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই দেখা গেল মিষ্টি দোকানগুলোর সামনে লাইন দিয়ে জিলিপি কেনার উৎসাহী মানুষদের ভিড়।কিন্তু যেহেতু বাজারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় তাই অন্যান্য বছরের মতো বিক্রিবাটা হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত ঘাটালের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। ঘাটাল পোস্তা বাজারের এক মিষ্টি বিক্রেতা অর্পন কাপাস বলেন করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই বাজারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় তারওপর রথের মেলাও বন্ধ ফলে জিলিপি বিক্রিতে আদৌ কতটা হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি।
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আধভেজা অবস্থায় এক জিলিপি ক্রেতা অভিজিৎ মালাকার বলেন, প্রতিবছরই আমরা রথের মেলায় বন্ধুদের সাথে পাঁপড় ভাজা,জিলিপি খাই। কিন্তু এবছর রথ হচ্ছে না বলেতো আর উৎসবের খাওয়াটা বন্ধ রাখা যায় না তাই সবার জন্য জিলিপি কিনতে এলাম।
পরিস্থিতি যাই হোক ঘাটালবাসী বই চিরকালই রসেবসে থাকতে ভালোবেসেছে।

![[RNI No:WBBEN/2011/39784] Logo](https://ghatal.net/wp-content/uploads/2021/06/Arnab-1.png)










