তনুপ ঘোষ, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই কেঠিয়া সেতুর ২৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সভাঘরে এক বৈঠক থেকে চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই কেঠিয়া সেতুর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন উপলক্ষে কেঠিয়া সেতুতে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী সহ পূর্তদপ্তর ব্রিজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকরা। উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় কেঠিয়া সেতু।আর এতেই খুশি এলাকাবাসী থেকে নিত্যযানবাহনের চালকেরা।
উল্লেখ্য, ঘাটাল-চন্দ্রকোণা ৪ নং রাজ্য সড়কের কেঠিয়া নদীর উপর বহু পুরানো কংক্রিট সেতুর উপর দিয়েই যাতায়াত চলছিল। বছর খানেক আগে সেই পুরানো কংক্রিট সেতুতে গোলযোগ ধরা পড়ে,স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পুরানো ওই সেতুর উপর ভারি যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে প্রশাসন। শুধু ঘাটাল-চন্দ্রকোণা রাজ্য সড়কই নয় কেঠিয়া সেতুর সাথে সংযোগ স্থাপন একদিকে মেদিনীপুর, গড়বেতা তো অপরদিকে আরামবাগ, বর্ধমান, কোলকাতা, হলদিয়া, দীঘা সহ একাধিক জায়গার। যার জেরে পুরানো সেতুর উপর চাপ বাড়ছিল যানবাহনের এবং তাতে গোলযোগ ধরা পড়ায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় প্রশাসনের তরফে। পুরানো কংক্রিট সেতুর বেহাল অবস্থার জেরে ঘুর পথে ভারি যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছিল এতে চরম ভোগান্তি ও সমস্যায় পড়ছিল দূর-দূরান্তের পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বিভিন্ন যানবাহন। পুরানো কংক্রিট সেতুটি চওড়ায় সরু হওয়ায় যানবাহন চলাচলে তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হত প্রায়শই। পুরানো কেঠিয়া সেতুর পাশেই নতুন সেতু তৈরির দাবি উঠে, সেইমতো ২০১৯ সালে পুরানো সেতুর পাশেই দুই লেনের ‘সিঙ্গেল স্প্যান বোস্টিং গিডার’ স্টিল ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করে পূর্ত দপ্তর। এই ব্রিজ লম্বায় ৫০ মিটার ও চওড়া ১১.০১ মিটার, বরাদ্দ অর্থ ১৪ কোটি টাকা।২০১৯ সালে ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু হলেও বিভিন্ন টালবাহানায় নির্মাণ কাজ মাঝে মধ্যে থমকে গিয়েছিল। বন্যাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় বিগত বন্যায় কেঠিয়া নদীর জলস্তর এতোটাই বেড়ে গিয়েছিল তৎকালীন সময় নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাময়িক কাজ বন্ধও হয়ে যায়।অবশেষে ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পন্ন করে পূর্ত দপ্তর এবং বুধবার সেতুটির উদ্বোধন হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু চালু হয়ে যাওয়ায় যানজটের সমস্যা যেমন মিটবে তেমনই এতদিন যেসব ভারি যানবাহন ঘুরপথে যাতায়াত করছিল তার ভোগান্তিও কাটবে এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পথ আরও সুগম হবে বলেই মনে করছে পূর্তদপ্তর থেকে স্থানীয় প্রশাসন।