নিজস্ব সংবাদদাতা, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: আজ শনিবারের রাতে ফিরে এলো দাসপুরের যুবক নীলশেখরের নিথর দেহ। সারা দেশে নজির গড়ল মৃত ছেলের এই দেহ। মরে গিয়েও সে পেল অমরত্ব। সাতজনের শরীরে বেঁচে থাকবে বছর ২৩ এর নীলশেখর মণ্ডল। পূর্ব ভারতের ইতিহাসে এক অনন্য নজির তৈরি করে গেল সে। একসঙ্গে ছটি অঙ্গ দান আগে পূর্বভারতে হয়নি। চোখের জল আটকে মুখে লৌহকঠিন দৃঢ়তায় ছেলের ব্রেনডেথের সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিলেন সদ্য সন্তান হারানো বাবা রঞ্জন মণ্ডল। কি হয়েছিল নীলশেখরের? দাসপুরের কিসমৎ রাধাকান্তপুরের প্রাণবন্ত তরুণ নীলশেখর মণ্ডল ১ এপ্রিল চাঁইপাটের কাছে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
৭ এপ্রিল চিকিৎসকরা জানান ব্রেন ডেথ হয়েছে নীলশেখরের। সেই মুহূর্তে পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অঙ্গদান করে নীলেশেখরকে বাঁচিয়ে রাখা হবে অন্য কারোর শরীরে। নীলেশের দান করা হার্ট, লিভার, দুটি কিডনি, ক্ষুদ্রান্ত, ফুসফুসে বেঁচে উঠবে সাতজন মরণাপন্ন রোগী, এমনই দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার রাতে বিভিন্ন অঙ্গ দানের পর নীলশেখরের নিথর দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরল। পরিবারের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া থাকলেও তাদের গর্বে বুক ভরে গেল। নীলশেখর সবার মাঝে অমর হয়ে রইল।