নিজস্ব সংবাদদাতা, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: অতিরিক্ত বর্ষা সাথে টানা বন্যা দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস ঘাটাল দাসপুর জুড়ে কৃষকরা কৃষিকাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। শীতের আগে থেকে রবি শস্য আউস ধান বা আলু জমি তৈরির কাজ শুরু করতে গিয়ে ফসলের সারের দোকানদারদের কালোবাজারির শিকার এই কৃষকরা? সারের বস্তায় সারের দামের যা প্রিন্ট তার থেকে কোথাও ৩০০ কোথাও বা ৫০০টাকারও বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন ঘাটালের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। যদিও কৃষি অধিকর্তা থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানাচ্ছেন, বিষয়টি তাঁরা জানেন না। অন্যদিকে দাসপুর-১ ব্লকের কাঁটাদরজা গ্রামের বনমালী ঘোষ,অসিত কুইল্যা,রাজনগর এলাকার একাধিক কৃষক পাশাপাশি দাসপুর-২ ব্লকের গোপীগঞ্জ,দুধকোমরা,কাশিয়াড়া,সোনামুই এলাকার অর্জুন সামন্ত,রেবতী মাজি,অজিত মাইতি,গোবর্ধন সামন্তের মতো বহু কৃষক জানাচ্ছেন, সারের বস্তায় লেখা ১৩৯০টাকা সার দোকানে দাম দিতে হচ্ছে ১৬০০টাকা। এলাকার বেশিরভাগ কৃষকই সার দোকান থেকে সারের দাম বাকি রেখেই মালিকের থেকে সার নিয়ে চাষ করেন। পরে ফসল উঠলে সে দাম শোধ হয়। কিন্তু এবার সার নিয়ে এমন কালোবাজারিতে চাষ করতে নাভিশ্বাস ঘাটাল, দাসপুরের কৃষকদের। অন্যদিকে দাসপুরের রাজনগরের এক সার দোকানের মালিক অজিত দোলই সারের কালোবাজারি প্রসঙ্গে জানান,এবার সারের যথেষ্ট টান থাকলেও যোগানে কিছু সমস্যা আছে। হয়তো অনেক দোকানদার সার মজুত রেখে দাম বেশি নিচ্ছেন। তবে এবার সারের জোগান না থাকার কারণে তিনি সার মজুত করতে পারেননি। সার বিক্রি তার দোকানে প্রায় নেই। তবে দাসপুরের কৃষি অধিকর্তা সুকদেব খুটিয়া বলেন,এই সারের কালোবাজারি বিষয়ে তাঁর কাছে লিখিত বা মৌখিক কোনও অভিযোগ নেই। এলাকার কোনও কৃষক সার না পেলে বা সারের জন্য দাম বেশি দিতে হচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। ইতি মধ্যেই বিশেষ টাস্ক ফোর্স দাসপুর জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে। দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিক বলেন,বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকলেও বর্তমানে কেন্দ্র থেকেই রাজ্যে সারের চাহিদার ১০ ভাগের ১ভাগ সরবরাহ করা হচ্ছে। যা আমাদের এই কৃষি প্রধান রাজ্যে উদ্বেগজনক। এর ফলেই সার মজুত করে কালো বাজারীর একটা সম্ভাবনা থাকে সে বিষয়ে তাঁরা এবং রাজ্য সরকার তৎপর। খোঁজ মিললেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন।