অবশেষে দাসপুর পুলিশের হস্তক্ষেপ দাসপুরের ধরমপুরের তপন সাঁতরার স্ত্রী এবং রাজনগরের সন্নাসী পোড়ার বড়ো মেয়ে গীতা সাঁতরার মৃতদেহ পোড়ানো হল।১৮ জুন শুক্রবার চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় গৃহবধুর। মৃতদেহের ময়না তদন্তের পর ১৯ জুন সন্ধ্যায় দেহ এসে পৌঁছায় দাসপুরের ধরমপুরে গীতার শ্বশুর বাড়িতে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির সবাই ততক্ষণে পলাতক। মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ ছিল মেয়ের উপর অত্যাচার করে তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দাসপুর পুলিশ শ্বশুরবাড়ির পরিবারের এক সদস্যকে গ্রেপ্তারও করেছে। এদিন দেহ এসে পৌঁছালে মৃতের বাপের বাড়ি দাসপুরের রাজনগর থেকে ভাই সুভাষ পোড়্যাসহ গ্রামের অন্যান্যরা গিয়ে মৃতদেহকে তার শ্বশুরবাড়ির দাওয়ায় ফেলে রাখেন। গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে মৃতের বাপের বাড়ির তরফে দাবি তোলা হয় দোষীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মৃতের দুই নাবালক সন্তানের ভবিষ্যতের ব্যবস্থার। ভাই সুভাষ পোড়্যা জানান,রাতেই দাসপুর পুলিশের তরফে আশ্বাস মেলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের। অন্যদিকে গ্রামিবাসীরাও জানান পরবর্তীতে মা হারা দুই নাবালিকা যাতে তার পিতৃ সম্পত্তিতে থেকে বঞ্চিত না হয় সে দিকে নজর রাখবে। এরই মাঝে রাতে বৃষ্টি শুরু হলে গীতার দেহ সৎকারে সমস্যা হয়। আজ রবিবারের সকালে বৃষ্টি থাকলে দাসপুর পুলিশ,গ্রামিবাসী,এবং মৃতের বাপের বাড়ির পরিবার দাঁড়িয়ে থেকে ধরমপুরের এই গৃহবধূর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।